জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

‘জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি বাস্তবায়নে একজোট হতে হবে’

এবিএনএ : অধ্যাপক ড. মনতাসীর মামুন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের যে মর্যাদা প্রাপ্য তা দিতে আমরা কার্পণ্য করেছি। শহীদ পরিবারের আর্তি আমরা উপেক্ষা করেছি, তাদের সংগ্রামেও যথাযথভাবে সহায়তা করতে পারিনি। শহীদ পরিবারের অনেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, অধিকাংশই বঞ্চিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সময়ই তারা যথাযথ মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি ঘাতকদের বিচার করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে খুলনা নগরীর বিএমএ ভবন মিলনায়তনে ১৯৭১ গণহত্যা- নির্যাতন আকাইভ ও জাদুঘরের তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘১৯৭১ সালের শহিদদের সন্তানদের আর্তি ও সংগ্রাম’শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুনতাসীর মামুন বলেন, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। ২৫ মার্চকে জাতীয়  গণহত্যা দিবস ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি; বিশেষ করে একাত্তরের ঘাতকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা দিয়ে শহীদ পরিবারের জন্য তহবিল গঠনের দাবি ও জামায়াত নিষিদ্ধকরণের দাবি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদ সন্তানদের এই দাবি আদায়ের সংগ্রামে আমাদের এক জোট হতে হবে।  তাহলে তারা তাদের পূর্ব পুরুষদের মর্যাদা দিতে পারবেন। আমরা আমাদের সংগ্রামের মশাল তাদের হাতে তুলে দিতে পারব। শহীদ পরিবারের আর্তি ও সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতা করেন, ১৯৭১ গণহত্যা – নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম। অন্যদেরর মধ্যে বক্তৃতা করেন, খুলনা- ১ আসনের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস ও আওয়ামী লীগ নেতা ড. মাহবুবুর রহমান, শহীদ মুনীর চৌধুরীর সন্তান তন্ময় চৌধুরী, শহিদ ডা. আলীম চৌধুরীর সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী, শহীদ সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেনের সন্তান তৌহীদ রেজা নুন, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা হোসেনের সন্তান জাহিদ সুমন প্রমুখ।

Share this content:

Back to top button