
হোয়াইট হাউজে তার প্রথম দিনেই ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিপিপি বাণিজ্য চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ পদক্ষেপে সহমত প্রকাশ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগেই আমি কথা বলেছিলাম। এবং তখনই ধারণা করেছিলাম, তিনিই জয়ী হবেন’।
‘যুক্তরাষ্ট্রসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশের বহুল বিতর্কিত টিপিপি চুক্তি বাতিল করবেন ট্রাম্প। এটি আমাদের জন্য ভালো’।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস(এমডিজি ২০০১-১৫)’ এর চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ট্রাম্পের প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের আগে তিনি (ট্রাম্প) কিছু সমালোচনার জন্ম দেয়, এমন কথা বলেছেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর এসব থেকে সরে এসেছেন’।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা এমডিজি অর্জনে দক্ষতা দেখিয়েছি। জাতির জনকের মতোই বাংলাদেশের নেতৃত্ত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জনও ভালো। সামনে এ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলে ২০৩০ সালের মধ্যেই হতদারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসবে’।
‘টিপিপি চুক্তিতে সদস্য দেশগুলো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিনা শুল্ক সুবিধা পাবে। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্য দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ব্রুনাই দারুস সালাম, কানাডা, চিলি, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো,নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম। ফলে আমাদের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম বিনা শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বাণিজ্য করতে পারবে। অন্যদিকে বাংলাদেশকে দিতে হবে ১৫ শতাংশ’।
ফলে টিপিপি থেকে ট্রাম্পের সরে আসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
Share this content: