
এবিএনএ : নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে এখনই একটি আইন অথবা অধ্যাদেশ জারি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং প্রবর্তনসহ রাষ্ট্রপতিকে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বিকেল চারটায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সংলাপ শেষ হয়। বিকেল চারটায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল প্রবেশ করে। বৈঠক চলে বিকেল ৪টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রপতিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সময় স্বল্পতার কারণে আগামী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের সময় যেন এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। কাদের বলেন, সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে এখন থেকেই সে উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
ই-ভোটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমানে বিরাজমান সব বিধিবিধানের সঙ্গে জনমানুষের ভোটাধিকার অধিকতর সুনিশ্চিত করার স্বার্থে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং প্রবর্তন করতে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সংবিধান ও বিরাজমান সব আইনকানুনের ওপর শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সুগভীর প্রজ্ঞা ও সুবিবেচনার প্রতি আওয়ামী লীগের পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির গৃহীত যেকোনো ন্যায়সংগত উদ্যোগের প্রতি এই দলের পরিপূর্ণ সমর্থন থাকবে।
এর আগে বৈঠক শেষে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ওবায়দুল কাদের জানান, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’
এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ ২৩টি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির সংলাপে আমন্ত্রণ পেয়েছে।
ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে আওয়ামী লীগের প্রস্তাব ও সুপারিশমালা দিতে আওয়ামী লীগের গঠিত কমিটির দুজন সদস্য গতকাল মঙ্গলবার বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তার প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা রয়েছে। তাঁরা আশা করেন, গতবারের মতো সার্চ কমিটির মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন উপহার দিতে পারবেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই এই অল্প সময়ের মধ্যে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনই সর্বোত্তম পন্থা।
Share this content: