
এবিএনএ: প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের বক্তব্য ভোটারবিহীন নির্বাচনের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বুধবার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।রিজভী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে নিয়ে কী করা হবে, এটার যে মাস্টারপ্ল্যান তা এইচ টি ইমামের জানার কথা। তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টারও জানার কথা। এজন্য তারা পালাক্রমে এসব কথাবার্তা বলেন। কারণ তারা যে ভোটারবিহীন নির্বাচনের পরিকল্পনা করছেন- এ বক্তব্যগুলো তারই আলামত।’ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন এমনটাই জনগণ প্রত্যাশা করে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। সম্মেলনে এইচ টি ইমামকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘এখন তিনি গায়েবি পরিসংখ্যান ব্যুরোর অধিকর্তা সেজেছেন। মুজিব হত্যাকারীদের সহযোগী এই সাবেক আমলাটি। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভোট নাকি ৪২ শতাংশ, আর বিএনপির নাকি ৩০ শতাংশ। এসব উদ্ভট পরিসংখ্যান এইচ টি ইমামের নিজস্ব নাকি তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টার তা জাতির জানার আগ্রহ আছে।’ তিনি বলেন, ‘এসব অলৌকিক পরিসংখ্যান এইচ টি ইমাম সাহেবের মাথা থেকে আসাটা যৌক্তিক এই কারণে যে, খন্দকার মোশতাকের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য বিব্রতকর অবস্থা কাটাতে এখন প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে মোসাহেবদের ম্যারাথন দৌঁড়ে এগিয়ে থাকতে চান। তবে প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিত যারা মোসাহেবি করেন তারা বিপজ্জনক।’ রিজভী আরও বলেন, ‘তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আক্রমণাত্মক হতে হবে বলেছেন। যা শুধু নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী নয়, বরং আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীদেরকে সন্ত্রাসী হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার শামিল। আগামী জাতীয় নির্বাচনটি যে ভোটার ছাড়াই হবে এইচ টি ইমামের বক্তব্য সেটিরই পূর্বাভাস।’ সম্মেলনে এইচ টি ইমাম এখন আওয়ামী সরকারের ‘রাসপুটিন’ হিসেবে কাজ করছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, তার কারণেই আওয়ামী লীগ এখন গণবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল।
Share this content: