আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল, ৪৯ সন্তানের জনক খোদ চিকিৎসক

এবিএনএ: ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা গেল স্পার্ম ব্যাংকের সাবেক প্রধানই ৪৯ জন সন্তানের ‘বায়োলজিক্যাল’ বাবা। আগে থেকেই এ ব্যাপারে অভিযোগ ওঠার পর অবশেষে তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তাতেই এ ধরনের বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে নেদারল্যান্ডের রোটেরডামের পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে। ওই ৪৯ জন সন্তানের সত্যিকারের বাবার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর তাদের পাশে দাঁড়ায় শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই শিশুদের জন্ম দেওয়ার জন্য নিজের স্পার্ম ব্যবহার করেছেন ডা. জন কারাবাট।

কারাবাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে (এ পদ্ধতিতে নারী ও পুরুষের ডিম্বানু ও শুক্রাণু শরীরের বাইরে মিশ্রণ ঘটানো হয়) সন্তান জন্ম দেওয়া নারীদের পছন্দের পুরুষের স্পার্মের পরিবর্তে তিনি নিজের স্পার্ম ব্যবহার করেছেন। অবশ্য দু’বছর আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন অভিযুক্ত কারাবাত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেদারল্যান্ডের একটি আদালত রুল জারি করে যে, যেহেতু কারাবাত ৮৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। সে ক্ষেত্রে তার ক্লিনিকে আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম দেওয়া সন্তান এবং তারা বাবা-মা নিজেদের ডিএনএ পরীক্ষা করতে পারেন। তার পর এ নিয়ে হইচই পড়ে যায়।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালেই কারাবাতের ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, কোনো নারীর পছন্দের পুরুষের ডিএনএ ব্যবহার না করে বেআইনিভাবে নিজের স্পার্ম ব্যবহার করেছেন কারাবাত। পরে ডিএনএ পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। কারাবাতের পরিবারের পক্ষ থেকে এর আগে আদালতে অনুরোধ জানানো হয়, কারাবাতের পরিবার বিশেষ করে সন্তানদের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থ যেন আদালত সুরক্ষা দেয়। সে অনুযায়ী দীর্ঘ বিলম্বের পর আদালত এ ধরনের অনুমোদন দেয়।

Share this content:

Back to top button