
এবিএনএ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দিন। পাশাপাশি অন্যায়-অবিচার, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও মাদক দূর করে দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়ার সুযোগ দিন। বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী তার প্রশ্নে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আল্লাহ যদি চান, আগামী নির্বাচনে আমরা আবার যদি ফিরে আসতে পারি, এর মাঝে অবশ্যই আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। শাস্তি দিতে পারবো। এজন্যই দেশবাসীর কাছে দোয়াও চাই, ভোটও চাই যাতে আবার ফিরে এসে যেন এই অন্যায়-অবিচারের বিচার করতে পারি। এর সাজা কার্যকর করতে পারি।’
১৫ আগস্ট তার পরিবারের ১৮ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডিমিটি অধ্যাদেশ জারি করে হত্যাকারীদের বিচারের হাত থেকে মুক্ত রাখা হয়েছিল। বরং তাদের শাস্তি না দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘পরে জনগনের সমর্থন নিয়ে আমার দুই বোন দেশে ফিরে আসি। দেশে সেসময় খুনী, যুদ্ধাপরাধীরাই ছিল ক্ষমতায়। তখন বার বার আমার ওপর বাধা আসে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কখনও বোমা, কখনও গুলি, কখনও গ্রেনেড হামলা নানাভাবে আমি প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েছি। তবে সব সময় আমার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে, বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। আর বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে যা আমার বাবা চেয়েছিলেন। সেই দৃঢ প্রত্যয়ে নিয়েই সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াই। দেশকে সুসংগঠিত করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতিসহ নানা কাজ শুরু করি। আর মানুষ এই সুফল পেয়েছিল বলেই আমাকে রাজনৈতিভাবে হেয় করা, বা রাজনৈতিকভাবে শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে, শারীরিকভাবে শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে। নানা রকম বদনাম দেয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুতে সফল হয়নি। ২১ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে রণক্ষেত্রের গ্রেনেড রাজপথে ব্যবহার করে এভাবে হত্যা করেছে। আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সত্য যে কোনোদিন চাপা থাকে না, তা আজকে মামলা চলতে চলতে সত্য বেরিয়ে এসেছে। তাদের বিচার যখন হয়েছে, রায় যখন হয়েছে, একদিন সাজা পেতেই হবে। সাজা ভোগ করতে হবে।’
Share this content: