এবিএনএ : ‘আন্দোলন চাই, সময়মতো আমি নাই’- এ মানসিকতা না বদলালে আন্দোলনে সফলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এজন্য নেতাদের ঈমান ঠিক করতে বলেছেন তিনি।
দলের নেতাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, আন্দোলন চাই, সময়মতো আমি নিজে নাই, টেলিফোন বন্ধ। রাজপথে রক্ত দিমু, কর্মীরে বলুম সাবধানে থাইকো- হয় না, হয় না। ঈমান ঠিক করেন। যেদিন বলতে পারেন মরতে হয় মরব, গণতন্ত্র আনব- সেদিনই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, সেদিনই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, সেদিনই দেশ মুক্তি পাবে। সেদিনই জাতীয়তাবাদী শক্তি গোলামির জিঞ্জির ছিঁড়ে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলটির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৮২ সালে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে একজন ক্ষমতায় আসছে, গণতন্ত্র বিসর্জন বুটের তলায় চলে গেল। আর শেখ হাসিনা বললেন, আই অ্যাম নট আনহ্যাপি। গণতন্ত্র চলে গেলে যিনি বলেন, আনহ্যাপি, গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী তার জন্য সুখের। নাউ সি ইজ হ্যাপি। কেবল উইথ আউট সাপোর্ট, উইথ আউট ভোট সে বারবার প্রধানমন্ত্রী আছে। ১/১১ তে কী হল? জেনারেল মঈন উ আহমেদ আসল। কী কারণে আসল? তাদের (আওয়ামী লীগ) যদি ক্ষমতাই থাকত তারা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারত। তাহলে তারা কী কারণে আন্দোলন করল, লগি-বৈঠা… অনেক ঘটনা করে মঈন উ আহমদকে আনল। তিনি (শেখ হাসিনা) বিদেশ যাওয়ার সময়ে এয়ারপোর্টে বললেন, তাদের সব অপকর্ম আমি বৈধতা দেব। সেই দিনই চুক্তি ফাইনাল।
তিনি বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রীর নিজের হোমের থেকে সেকেন্ড হোমের প্রতি বেশি দুর্বল। এ দুর্বলতাই আমাদের জাতীয় জীবনে বড় বিপর্যয়। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠীর দল জাতীয়তাবাদী দল, এই দল শুধু আপনার আমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনারা (নেতারা) মাঠে না থাকলে জনগণ আপনাদের পাশে থাকবে না।
ঢাকা জেলা সভাপতি দেওয়ান মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, তমিজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।