

এবিএনএ : নাইজারে এই মাসে জঙ্গি হামলায় প্রাণ যায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট লা ডেভিড জনসনের। এরপর তাঁর বিধবা স্ত্রী ফোন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তাঁর অভিযোগ, ট্রাম্প তাঁর স্বামীর নাম মনেই করতে পারেননি।
নিহত সেনা ডেভিডের স্ত্রী মাইশিয়া জনসন বলেন, স্বামীর কথা বলার পর প্রেসিডেন্টের আমতা-আমতা করছিলেন। তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করেন, ‘ট্রাম্প আমাকে কাঁদিয়েছেন।’
ট্রাম্প অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন, সার্জেন্ট জনসনের নাম তিনি নির্দ্বিধায় বলেছেন। জনসনের স্ত্রীর সঙ্গে বেশ শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা বলেছেন।
গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমে নিহত সেনাদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশে ট্রাম্পের আহ্বানের খবর প্রকাশ হয়। এরপরই ট্রাম্পকে ফোন করেন মাইশিয়া।
মাইশিয়া প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি আমার স্বামী আমাদের দেশের জন্য যুদ্ধ করতে পারেন, জীবনের ঝুঁকি নিতে পারেন, তাহলে প্রেসিডেন্ট কেন তাঁর নাম মনে করতে পারবেন না?’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল সোমবার টুইটে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, লা ডেভিড জনসনের নাম শুরুতেই তিনি মনে করতে পেরেছিলেন। জনসনের স্ত্রীর অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
হোয়াইট হাউস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিহত সেনার স্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনে আলাপচারিতা ছিল একেবারেই ব্যক্তিগত। নাইজারে জঙ্গিদের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সেনাবাহিনীর যে চারজন নিহত হন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সার্জেন্ট জনসন।
Share this content: