এবিএনএ : সদ্য প্রয়াত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার বাজেয়াপ্ত করা ১০ হাজার ৫০০টি শাড়ি, ৭৫০ জোড়া জুতা ও ৫০০ ওয়াইন গ্লাস এখনো কর্ণাটকের নগর দায়রা আদালতের একতলার একটি ঘরে রাখা আছে। সামনে কড়া পাহারায় চার পুলিশ কর্মী।
দিন রাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন ওই ঘরটিকে।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আয়কর দফতর এই জিনিসগুলো বাজেয়াপ্ত করে। সুব্রহ্মণ্যন স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে জয়ললিতার সম্পত্তি যাচাইয়ে মাঠে নামে আয়কর দফতর। তার ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ১০ হাজারের বেশি শাড়ি, সাতশোর বেশি জুতা এবং ৫০০ ওয়াইন গ্লাস। সঙ্গে রয়েছে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের ২১.২৮ কেজি সোনার গয়না, ৩ কোটি ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের রুপোর গয়না, ২ কোটি টাকার হিরের গয়না। জয়ললিতা এ সম্পত্তির কোন হিসাব দিতে না পারায়, তা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। ২০০২ সালে জয়ললিতার সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলাটি কর্ণাটকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকেই এগুলো সবই কর্ণাটক নগর দায়রা আদালতের ওই ঘরে রাখা হয়েছে।
জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই এই মালামাল গুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। এআইএডিএমকের সিনিয়র নেতারা যেগুলো মিউজিয়ামে রাখতে চান। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এখনো এই মামলার নিষ্পত্তি করেনি।
২০১৭ সালে মামলার রায়ে বলা হয়েছে, যদি জয়ললিতার দোষ প্রমাণিত হয়- তা হলে বাজেয়াপ্ত সমস্ত-সম্পত্তিগুলো তামিলনাড়ু সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর তা যদি না হয়, তা হলে উপযুক্ত দাবিদারকে তা দেওয়া হবে বলে জানান কর্ণাটকের নগর দায়রা আদালতের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল এ এস পোনাম্মা।