এ বি এন এ : বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন সাকিব আল হাসান। আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন সাকিব। সাকিবের জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি ঘোষিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। ২০১২ সালের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের তালিকায় নাম ছিল সাকিবের ।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সরকারি এই ক্রীড়া পুরস্কারটি বার্ষিক। তবে অবসরের আগেই এই পুরস্কার লাভের দৃষ্টান্ত এ দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে হাতেগোনা। ক্রিকেটার হিসেবে এ গৌরব অর্জন করেছেন মাত্র দুজন। ১৯৯৮ সালে খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই জাতীয় পুরস্কার পান আকরাম খান। আর কিংবদন্তি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকও ২০০৬ সালে অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক অবসরের দুই বছর আগেই এ সম্মাননা লাভ করেন।
২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালের জন্য মোট ৩২ জন ক্রীড়াবিদকে মনোনীত করা হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য। সাকিব ছাড়াও এবার এই পুরস্কার উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের হাতে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর পদক দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামালকে।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা
২০১০
হারুন-অর-রশিদ (সাঁতার), আতিকুর রহমান (শুটিং), মাহমুদা বেগম (অ্যাথলেটিকস), দেওয়ান নজরুল হোসেন (জিমন্যাস্টিকস), মিজানুর রহমান মানু (সংগঠক), এ এস এম আলী কবীর (সংগঠক), মরহুম তকবির হোসেন (সাঁতার), ফরিদ খান চৌধুরী (অ্যাথলেটিকস), নেলী জেসমিন (অ্যাথলেটিকস), নিপা বোস (অ্যাথলেটিকস, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)
২০১১
রওশন আরা ছবি (জিমন্যাস্টিকস), কাঞ্চন আলী (বক্সিং), আশরাফ আলী (কুস্তি), হেলেনা খান ইভা (ভলিবল), খালেদ মাসুদ পাইলট (ক্রিকেট), রবিউল ইসলাম (ফটিক দত্ত) (শরীর গঠন), জুম্মন লুসাই (হকি), কুতুবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (আকসির) (সংগঠক), আশিকুর রহমান মিকু (সংগঠক), শহীদ শেখ কামাল (মরণোত্তর) (ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক)।
২০১২
সাকিব আল হাসান (ক্রিকেট), মোহাম্মদ মহসীন, খুরশিদ আলম বাবুল, আবদুল গাফ্ফার, আশীষ ভদ্র, সত্যজিৎ দাশ রুপু (ফুটবল), ফিরোজা খাতুন (অ্যাথলেটিকস), নাজিয়া আক্তার যূথী (ব্যাডমিন্টন), রাজীব উদ্দীন আহেমদ চপল (সংগঠক), মামুন উর রশিদ (হকি), নুরুল আলম চৌধুরী (সংগঠক)।