এ বি এন এ : আবাসিক হলের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর আজ সোমবার ফের কয়েক দফা হামলা চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সুমনা ক্লিনিক ও ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য, সকাল নয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এরপর তাঁরা হল নির্মাণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা চালানো হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী রফিুকল ইসলাম, আমজাদ হোসেনসহ ৮ থেকে ১০ জন আহত হন। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সুমনা ক্লিনিক ও ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন, কয়েকজন চিকিৎসাধীন।
সকাল ১০টার দিকে সব শিক্ষার্থী আবার জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আবার হামলা চালানো হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হন। তাঁদের কয়েকজনকে ন্যাশনাল মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।
এরপর থেকে ক্যাম্পাসে একসঙ্গে পাঁচ-ছয়জন শিক্ষার্থীকে কথা বলতে দেখলেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের চড়–থাপ্পড় মারছেন। এতে শিক্ষার্থীরা বিভাগের ক্লাসরুমে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
ছাত্রধর্মঘটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল আমিন বলেন, ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলার কারণে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আট–নয়জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের বাধার কারণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারছেন না।
ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মেহরাব আজাদ বলেন, ছাত্রলীগের হামলায় আজকের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। বেলা দুইটার দিকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, কারও ওপর তাঁরা হামলা করেননি। বরং হল নির্মাণের দাবিতে তাঁরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।