এবিএনএ : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডা. আব্দুল কাদের খান জাতীয় পার্টির কেউ নন বলে অস্বীকার করেছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
আজ বুধবার বিকেলে রংপুর পর্যটন মোটেলে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা এবং দু’টি মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
এরশাদ বলেন, আব্দুল কাদের খান এক সময় জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন। তিন বছর আগে দলের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। কিন্তু তিন বছর ধরে তার সঙ্গে আমার এবং দলের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাংসদ রুহুল আমীন হাওলাদারও একই সুরে কথা বলেন। তিনি বলেন, আব্দুল কাদের খান আমাদের কেউ নন। দলের কোনো পদেও নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা ঠিক হচ্ছে না।
লিটন হত্যা মামলায় কাদের খানকে মঙ্গলবার বগুড়া শহরের রহমাননগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের আগে ছয় দিন তাকে ‘নজরবন্দী’ রাখা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. কাদের খানের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি খানপাড়া গ্রামে। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি সুন্দরগঞ্জের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার কাদের খানের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মইনুল হাসান ইউসুব।
এরশাদ বলেন, এমপি লিটন হত্যা মামলায় কাদের খানকে গ্রেফতারের বিষয়টি আইনগত। তদন্তের পরে পরিষ্কার হবে। তিনি বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপ-নির্বাচনে শামীম আহমেদ পাটোয়ারীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে জয়ী হলে জাতীয় পার্টি উজ্জীবিত হবে, সংগঠিত হবে।
এর আগে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন। সে সময় রংপুরের ২১টি আসন না পেলে আমাকে জেলে যেতে হতো। এজন্য রংপরের মানুষের কাছে আমি চরঋণী। আগামী সংসদ নির্বাচনে উত্তরাঞ্চলের সব আসন আমাদের পেতে হবে। জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে মরতে চাই।
দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব সাংসদ রুহুল আমীন হাওলাদার। বৈঠকে কাজী ফিরোজ রশীদও বক্তব্য রাখেন।