আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাকের ৫ বছরের কারাদণ্ড

এবিএনএ : থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। চালের ভর্তুকি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ইংলাকের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় সময় বুধবার এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২৫ শে আগস্ট থাইল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টে মামলায় হাজিরা দেয়ার কথা ছিল তার এবং ওইদিনই রায় ঘোষণার কথা ছিল। এ জন্য তার কয়েক হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ওইদিন আদালতের বাইরে সমবেত হয়েছিলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে শোনা যায় ইংলাক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। প্রথমে বলা হয়, তিনি দুবাই চলে গিয়েছেন। পরে বলা হয়, গিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। তারও পরে দলীয় এক নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেন, ইংলাক কম্বোডিয়ায় হয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন। সেখান থেকে দুবাই গিয়েছেন তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার কাছে। ইংলাক ২৫ আগস্ট আদালতে হাজির না হওয়ায় ইংলাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তার ভাই থাকসিন শিনাওয়াতও ২০০৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজা থেকে পালাতে দুবাইতে চলে যান।

তবে থাইল্যান্ডে এটা ওপেন সিক্রেট যে, দেশটির সামরিক সরকার আসলে চাইছিলো ইংলাক শিনাওয়াত দেশ ছেড়ে চলে যান। কারণ তাকে এই মামলায় সাজা দিয়ে জেলে ঢোকানো হলে, জনগণের সহানুভূতি তার পক্ষে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল।

ইংলাক শিনাওয়াত অবশ্য অতীতে বার বার বলেছেন যে তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে চান না। ধারণা করা হচ্ছে, থাইল্যান্ডের সামরিক সরকার হয়তো তার বিদেশ যাত্রা আটকাতে চায়নি। সে কারণেই তিনি দেশ ছাড়তে পেরেছেন। ২০১১ সালে ইংলাক শিনাওয়াত থাইল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু ২০১৫ সালে চালে ভর্তুকি দেয়ার এক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ক্ষমতাচ্যূত করে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সংসদ।

Share this content:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button