আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত তিনজন

এবিএনএ : ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘোষিত ৩১ সদস্যের মন্ত্রিসভায় তিন জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রীতি পটেল, ঋষি সুনাক, অলক শর্মার নিয়োগের মাধ্যমে নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ মন্ত্রিসভা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশের পূর্বেই জনসন ভারতের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার ঘোষিত জনসনের মন্ত্রিসভায় আনুপাতিক হারে নারী সদস্যের সংখ্যা কম। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র মন্ত্রিসভায় ৩০ শতাংশ নারী ছিল। কিন্তু জনসনের মন্ত্রিসভায় এ হার মাত্র ২৬ শতাংশ। থেরেসা মে-র মন্ত্রিসভার ১৭ জন সদস্য জনসনের মন্ত্রিসভায় স্থান পায়নি।

ছবি: প্রীতি পটেল

ভারতের গুজরাট প্রদেশের বংশোদ্ভূত প্রীতি পটেলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের একজন সমর্থক হিসেবে তিনি পরিচিত। জনসন সরকারের ভবিষ্যত মন্ত্রিসভা সম্পর্কে আগে প্রীতি বলেছিলেন,‘আধুনিক ব্রিটেন ও আধুনিক কনজারভেটিভ পার্টির ছাপ থাকা উচিত নতুন মন্ত্রিসভায়।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার তিনি সাংবাদিকদের বলেন,‘ব্রিটেনকে নিরাপদ রাখার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

ছবি: ঋষি সুনকের বিয়ে

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘ইনফোসিস’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনককে রাজস্ব বিভাগের প্রধান সেক্রেটারি করা হয়েছে। ৪৭ বছর বয়সী ঋষি বেক্সিট পন্থী বলে কনজারভেটিভ দলে পরিচিত। তিনি ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হন। এর আগে ১ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বৈশ্বিক বিনোয়োগ ফার্মের কো-ফাউন্ডার ছিলেন। তিনি ব্রিটেনে ক্ষুদ্র ব্যবসা বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সরকারের আমলে পার্লামেন্টে গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন।

ছবি: অলক শর্মা

থেরেসা মে সরকারের গৃহায়ণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী অলক শর্মাকে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারির দায়িত্ব দেয়া হয়। ব্যাংকিং খাতে তার ১৬ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৭ সালে গৃহায়ণ মন্ত্রী ও ২০১৮ সালে কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ভারতীয় উপমহাদেশের পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাজিদ জাভিদকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। ব্রিটেনে অর্থমন্ত্রী ‘চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার’ নামে পরিচিত। আগে সাজিদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের দিক থেকে তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় প্রথম অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

Share this content:

Back to top button