জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসায় জাতিসংঘ

এ বি এন এ : বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের নৈতিকতা, শৃঙ্খলাবোধ এবং পেশাদারিত্ব আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। তারা (বাংলাদেশ পুলিশ) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে শান্তি স্থাপনে অবদান অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন দারফুর ও সুদান (ইউএনএএমআইডি) পরিদর্শনকালে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ পুলিশের এ প্রশংসা করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ইউএনএএমআইডি পুলিশ কমিশনার মিস প্রিজিলা একং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ফ্রানক কফি স্যামির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া জয়েন্ট এইউ-ইউএন স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ ফর হেড অফ ইউএনএএমআইডি এবং জয়েন্ট চিফ মেডিয়েটর মার্টিন আইওইজিয়ানইউয়োমোইভি’র সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিনিধি দল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ দারফুর, সুদান শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বে মুগ্ধ হয়ে মিশন কর্তৃপক্ষ দারফুর, সুদান মিশনে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের মেয়াদ এক বছর থেকে ৬ মাস বাড়িয়ে এক বছর ৬ মাস করার অনুরোধ জানান। তারা জাতিসংঘের ম্যান্ডেন্ট বাস্তবায়নের পাশাপাশি সুদানে শান্তিরক্ষায় সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রতিনিধিদল দারফুর, সুদান মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ কর্মকর্তা (আইপিও) এবং ফরমড পুলিশ ইউনিট-এর সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তারা পুলিশ কর্মকর্তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, মিশনে সময়মত রেশন ও জ্বালানি সরবরাহের অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের ৮টি দেশে বাংলাদেশ পুলিশের এক হাজার ১১১ জন সদস্য পেশাদারিত্ব বজায় রেখে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন।

Share this content:

Back to top button