বিনা দোষে কারাবাস, জাবেদকে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

এ বি এন এ : হাইকোর্টের আদেশে নির্দোষ ঘোষণার পরেও ১৩ বছর কারাবাস করছেন সাতক্ষীরার জাবেদ আলী বিশ্বাস।
তার প্রতি অন্যায় আচরণের কারণে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন বিচারপতি মঈনুল আসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত দায়রা জজ (৩ নম্বর আদালত) কারা মহাপরিদর্শক, জেল সুপার (সাতক্ষীরা) সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কয়লা গ্রামের মৃত আমজেল বিশ্বাসের ছেলে জাবেদ আলী বিশ্বাস। স্ত্রী ফরিদা খাতুন মারা যাওয়ার পর তার দুই মেয়ে লিলি (৮) ও রেক্সোনা (৫) জেলার তালা উপজেলার মানিকহার গ্রামে মামা আবুল কাসেমের বাড়িতে থাকতেন।
১৯৯৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জাবেদ আলী শ্যালকের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওইদিন লিলি মারা যায়।
এ ঘটনায় শ্যালক আবুল কাসেম বিষ খাইয়ে লিলিকে হত্যার অভিযোগ এনে জাবেদ আলীর বিরুদ্ধে তালা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরদিন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর ওই মামলায় জাবেদ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম ২০০১ সালের ১ মার্চ জাবেদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে জাবেদ আলী হাইকোর্টে জেল আপিল করেন। ওই বছরের ১১ মে জাবেদ আলীকে সাতক্ষীরা কারাগার থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
২০০৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্ট জবেদ আলীকে নির্দোষ ঘোষণা করে বেকসুর খালাস দেন। খালাসের রায়ের কপি হাইকোর্ট পাঠানো সাতক্ষীরার আদালতে । বিচারক সেটি কারাগারে না পাঠিয়ে রেকর্ডরুমে সংরক্ষণের আদেশ দেন। এর ফলে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে তিনি বিনা বিচারে কারাভোগ করছেন।
Share this content: