
এবিএনএ : বাগেরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) দলের আস্তায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ চার সদস্যকে অস্ত্র ও হাত বোমাসহ গ্রেপ্তার করেছে। এসময় জেএমবি’র ছোড়া হাত বোমায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধবার দিনগত গভীর রাতে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা ব্রিজের কাছে গোবরদিয়ো এলাকায় আনছার আলী হাওলাদারের চায়ের দোকানের মধ্যে নাশকতা পরিকল্পনার বৈঠকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই চার জেএমবি সদস্যকে একটি দেশীয় পিস্তল, দুটি গুলি ও ৪টি বোমা সাদৃশ্য বস্তুসহ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. আশরাফুল আলী ফরাজীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২২), সাতক্ষীরা সদরের কাসিমপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোরশেদ আলম (২০), একই উপজেলার ইটাগাছা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৬) ও গড়েনকান্দা গ্রামের জুম্মান আলী সরদারের ছেলে মাকসুদুর রহমান ওরফে তোতা (২৪)।
এসময় একটি দেশীয় পিস্তল, দুটি গুলি, চারটি হাতবোমা, কয়েকটি মোবাইলসেট ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা ব্রিজের কাছে গোবরদিয়ো এলাকায় আনছার আলী হাওলাদারের চায়ের দোকানের ৬/৭ জনের নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি দলের সদস্যরা নাশকতার পরিকল্পনার বৈঠক করছে এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। জেএমবি সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে হামবোমা ছোড়ে। এসময় পুলিশও সাত রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে তারা পিছু হটলে পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে চার জেএমবি সদস্যকে একটি দেশীয় পিস্তল, দুটি গুলি, হাতবোমা তৈরির সরঞ্জাম, ছয়টি মোবাইলসেট ও একটি ল্যাপটপসহ আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।
তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Share this content: