জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

জায়ানের জানাজা সম্পন্ন, শনিবার কুলখানি

এবিএনএ: শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত জায়ান চৌধুরীর জানাজা হয়েছে। বুধবার বাদ আসর রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান মাঠে সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। জানাজায় মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
জায়ানের জানাজার আগে তার নানা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, শনিবার বাদ আসর বনানীর এই মাঠে কুলখানি হবে। তিনি বলেন, জায়ানের জন্য যে সহানুভূতি আপনারা দেখিয়েছেন তা আমাদের পরম পাওয়া। আমার মেয়ে যেন পুত্র হারানোর শোক দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে এবং তার স্বামী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই দোয়া করবেন। এর আগে শেষবারের মতো দেখতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বনানীর বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বাসায় আসেন। তিনি আসার পর এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শেখ সেলিমসহ সব আত্মীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর আগে পৌনে ১টায় শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে জায়ানের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দুপুর দেড়টার দিকে মরদেহ শেখ সেলিমের বনানীর ২/এ’র ৯ নম্বর বাসায় আসে। প্রধানমন্ত্রীর আসাকে কেন্দ্র করে বাড়িটির চারপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাদ আসর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির মাঠে তার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবে জায়ান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ আমেনা সুলতানা সোনিয়া তার স্বামী মশিউল হক প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। রোববার শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার সময় হোটেলের নিচতলায় একটি রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করতে গিয়েছিলেন প্রিন্স ও তার বড় ছেলে জায়ান। এ সময় হামলায় জায়ান নিহত হন এবং প্রিন্স আহত হন। ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে শেখ সোনিয়া ওই সময় হোটেলের কক্ষে ছিলেন। উত্তরায় সানবিম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল জায়ান।

Share this content:

Back to top button