আমেরিকা

চাঁদে হাঁটা শেষ মানুষটি চলে গেলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চাঁদের বুকে সর্বশেষ পদচিহ্ন রেখে আসা মানুষটি সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশচারী জেন সারনান স্থানীয় সময় সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছে নাসা। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।চাঁদের বুকে দুইবার পা রাখা পৃথিবীর মাত্র তিন নভোচারীর মধ্যে জেন সারনান একজন। ১৯৭২ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেন তারা। জেন সারনানই সবার শেষে চন্দ্রপৃষ্ঠ ত্যাগ করেন।

চাঁদের বুকে জেন সারনানের শেষ কথা ছিল : আমরা যেমন এসেছিলাম, তেমনি ফিরে যাচ্ছি এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা, মানবজাতির জন্য শান্তি ও আশার বার্তা নিয়ে ফিরছি আমরা।’ চন্দ্র অভিযানে যাওয়া অ্যাপোলো ১৭ মিশনের কমান্ডার ছিলেন জেন সারনান। এ পর্যন্ত মাত্র ১২ জন নভোচারী চাঁদে অবতরণ করেছেন। তাদের মধ্যে এখন বেঁচে আছেন ছয়জন।

সারনানের পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে সোমবার সবাইকে ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। বিবৃতিতে বলা হয়, গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা তার চিরবিদায়ের খবর জানাচ্ছি। আমাদের পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছে।

বিবিৃতে আরো বলা হয়, ৮২ বছর বয়সেও জেন সারনান মহাকাশে মানুষের বিচরণ নিয়ে তার ধারণা ভাগাভাগি করতে উৎসুক এবং আমাদের নেতা ও তরুণদের উৎসাহ দিতে চান, তিনি যেন চাঁদে পা রাখা শেষ মানুষ না থাকেন।

অ্যাপোলো ১৭ মিশনে যাওয়ার আগে জেন সারনান ১৯৬৬ ও ১৯৬৯ সালে মহাকাশ অভিযানে যান। এর আগে ১৯৬৩ সালে নাসার তৃতীয় নভোচারী গ্রুপের সদস্য হন তিনি। ১৯৭৬ সালে নাসা থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং ব্যবসা শুরু করেন। টেলিভিশন চ্যানেলের কারিগরি উন্নয়নে অবদান রাখেন তিনি। নিজের জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেন সারনান। ২০১৪ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে দীর্ঘ আলাপ করেন তিনি।

১৯৩৪ সালের ১৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় জন্মগ্রহণ করেন সারনান। তার প্রকৃত নাম ইউজেন অ্যান্ড্রু সারনান। স্ত্রী জ্যান নান্না সারনান, এক মেয়ে, দুই সৎমেয়ে ও নয় নাতি-নাতনি রেখেছেন তিনি। নাসার নভোচারী জন গ্লিন মারা যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর চলে গেলেন জেন সারনান।

Share this content:

Back to top button