জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

চবিতে যেভাবে ‘শূন্যে’ নামল করোনা সংক্রমণের হার

এবিএনএ : হুহু করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অবশেষে মিলল সফলতা। আগে যেখানে প্রতিদিন কেউ না কেউ নতুন করে আক্রান্ত হতেন, সেখানে গত দেড় মাসে নতুন করে আক্রান্ত হননি কেউ! এতে ‘শূন্যে’ নামল সংক্রমণের হার। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাড়তি কড়াকড়ি, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারায় এমন সাফল্য এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্নিষ্টরা। হঠাৎ করে বাড়তে থাকা সংক্রমণের হার একেবারে কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে সবার মাঝে। আগামীতেও সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।
বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হঠাৎ করে কভিড-১৯-এ সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় গত ৪ জুলাই ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেই গত ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ ও শঙ্কা বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় লকডাউনের সময়সীমা আরও আট দিন বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফার লকডাউনে বাড়ানো হয় কড়াকড়ি। লকডাউন ও লকডাউন-পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে বাড়তি কড়াকড়ির কারণে ১২ জুলাই থেকে গত দেড় মাসে এখন পর্যন্ত নতুন করে একজনও আক্রান্ত হননি করোনায়।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, ‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়। শেষে ক্যাম্পাসে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। ঈদুল আজহার সময় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এসব পদক্ষেপের কারণে গত দেড় মাসে একজনও নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হননি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ বন্ধ করার বিষয়টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতসহ দোকানপাটও বন্ধ রেখেছি। এসবের সুফল হিসেবে সংক্রমণের হার শূন্যে নেমে এসেছে।’ চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড লকডাউন করে আমরা সফলতা পাই। এর পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো এলাকা হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লকডাউনের কারণে সংক্রমণের হার শূন্যে নেমে আসায় আশার আলো দেখছি।’
সংক্রমণের হার শূন্যে নেমে আসায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন উত্তর ও দক্ষিণ ক্যাম্পাসে পরিবার নিয়ে বসবাস করা শিক্ষকসহ কয়েক হাজার বাসিন্দা।

Share this content:

Related Articles

Back to top button