বেইজিং সামরিক কুচকাওয়াজে শি-পুতিনের বিস্ময়কর আলাপ: ‘অমরত্ব’ নিয়েও আলোচনা
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথোপকথনে উঠে এলো বয়স, বায়োপ্রযুক্তি ও অমরত্বের প্রসঙ্গ।


এবিএনএ: চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন চত্বরে সামরিক কুচকাওয়াজ শুরুর আগে এক অনন্য দৃশ্যের জন্ম দেন শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। লাল গালিচা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তারা হাত মেলান, একে অপরের সঙ্গে আলাপ করেন এবং ক্যামেরার সামনে পোজ দেন।
তবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে শি ও পুতিনের কথোপকথন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সম্প্রচারে ‘হট মাইক’-এ ধরা পড়ে তাদের আলোচনায় উঠে আসে বয়স, বায়োপ্রযুক্তি এবং এমনকি ‘অমরত্ব’-এর মতো বিষয়।
চীনা সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে শি জিনপিংকে ম্যান্ডারিন ভাষায় বলতে শোনা যায়, “আজকাল ৭০ বছর বয়স।” এরপর অনুবাদকের মাধ্যমে পুতিনকে বিষয়টি জানানো হয়। পুতিন উত্তর দেন, “বায়োপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে এখন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব, এমনকি বয়স কমানোও যায়। ভবিষ্যতে হয়তো অমরত্বও অর্জন সম্ভব।”
জবাবে শি বলেন, “অনেক বিজ্ঞানীই তো বিশ্বাস করেন, এই শতাব্দীতে মানুষের আয়ু ১৫০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।”
এই কথোপকথন সরাসরি সম্প্রচারিত হয় সিসিটিভি, সিজিটিএনসহ চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় এবং তা ছড়িয়ে পড়ে রয়টার্স ও এপি’র মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইনে ফুটেজটি প্রায় ১৯০ কোটিবার দেখা হয়েছে, আর টেলিভিশনে দেখা হয়েছে ৪০ কোটিবার।
ভিডিওতে দেখা যায়, দোভাষীর মাধ্যমে আলাপ চলাকালীন কিম জং উন হাসিমুখে তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তবে তিনি কথোপকথন বুঝতে পেরেছেন কি না বা তার জন্য আলাদা অনুবাদ করা হয়েছিল কি না, তা পরিষ্কার নয়।
এ বিষয়ে রুশ সরকার, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা সিসিটিভির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।