রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ দূতের বৈঠক
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রস্তুতি; পর্যাপ্ত সহায়তা কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধান উপদেষ্টা


এবিএনএ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মিয়ানমার মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ। বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অগ্রাধিকার দিয়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের ভূমিকা ও প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন অ্যান্ড্রুজ।
তিনি মনে করিয়ে দেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা মূলত প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।
টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, “রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তায় বাংলাদেশের উদারতা প্রশংসনীয়। একই সঙ্গে সংকটের স্থায়ী সমাধানে আশাকে টিকিয়ে রাখতে আপনার নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন সম্মেলন দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই জটিল সমস্যার কার্যকর সমাধানের পথ উন্মোচন করবে। তবে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য মৌলিক সেবা রোহিঙ্গাদের জন্য ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। এ সময় তিনি যথাযথ অর্থায়ন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ দূতকে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
অ্যান্ড্রুজ স্বীকার করেন, বাংলাদেশ সংকট সমাধানে গঠনমূলক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মানবিক চ্যানেল স্থাপনের প্রচেষ্টা বিদ্বেষমূলক প্রচারণার কারণে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
তবুও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান সম্ভব। একই সঙ্গে এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, টম অ্যান্ড্রুজ ২৫ আগস্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আয়োজিত স্টেকহোল্ডার সংলাপে অংশ নেবেন, যার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।