ওটিটিতে সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনভিত্তিক ডকুফিল্ম ‘জুঁইফুল’ এখন ঘরে বসেই দেখুন
বাংলা গানের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে ঘিরে নির্মিত ডকুফিল্ম ‘জুঁইফুল’ এখন আইস্ক্রিন ওটিটিতে উন্মুক্ত, যেখানে উঠে এসেছে তাঁর শিল্পীজীবনের অনন্য কাহিনি।


এবিএনএ: বাংলা গানের অমর কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে কেন্দ্র করে নির্মিত ডকুফিল্ম ‘জুঁইফুল: সাবিনা ইয়াসমিন’ এখন ঘরে বসেই দেখা যাবে। চ্যানেল আইতে প্রচারের পর এবার এটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে। চ্যানেল আইয়ের প্রেস উইং জানিয়েছে, দর্শকের চাহিদা ও আগ্রহ বিবেচনায় ডকুফিল্মটি অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ডকুফিল্মটির পরিকল্পনা, নির্মাণ ও সঞ্চালনা করেছেন খ্যাতিমান গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। এতে দেখা যাবে আর্কাইভাল ফুটেজ, মঞ্চজীবনের দৃশ্য, রেকর্ডিং সেশন এবং পারিবারিক স্মৃতিচারণা। ষাটের দশক থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্ম পর্যন্ত সাবিনা ইয়াসমিনের দীর্ঘ শিল্পীজীবনের সংগ্রাম, সাফল্য ও অজানা অনেক গল্প উঠে এসেছে এতে।
সাবিনা ইয়াসমিনের বিপুল সঙ্গীতভাণ্ডার থেকে মাত্র বারোটি গান নির্বাচিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রে। কোনাল, লিজা, ইমরান, ঝিলিক, রাকিবা, ঐশী ও আতিয়া আনিসা নতুনভাবে গানগুলো পরিবেশন করেছেন।
শাইখ সিরাজ জানিয়েছেন, “সাবিনা ইয়াসমিনের প্রায় পনেরো হাজার গানের মধ্যে বারোটি বেছে নেওয়া কঠিন কাজ ছিল। তবে এই গানগুলোই তাঁর শিল্পীর গভীরতা ও বহুমাত্রিকতা তুলে ধরবে।”
ডকুফিল্মটিতে রয়েছে অপ্রকাশিত অনেক তথ্য ও মুহূর্ত—ব্যক্তিগত চিঠি, স্টুডিও নোটস, অনুশীলনের দৃশ্যসহ নানা স্মৃতি। সাবিনা ইয়াসমিন বলেছেন, “সিরাজ ভাই যেভাবে পুরো কাজটি সাজিয়েছেন, আমি বিস্মিত। দর্শকরা আমাকে নতুনভাবে দেখবেন। আমার শিল্পীজীবন ও সাফল্য আসলে সহকর্মী, পরিবার এবং শ্রোতাদের অবদানের ফল।”
তিনি আরও বলেন, এই কাজ বাংলা গানের ইতিহাসকে সংরক্ষণের এক অসাধারণ প্রয়াস। টেলিভিশনে প্রচারের পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে, আর ওটিটির মাধ্যমে এটি আরও বৃহৎ দর্শকের কাছে পৌঁছাবে।
শাইখ সিরাজ জানান, নির্মাণের আগে দীর্ঘ গবেষণা ও শুটিং শেষে সম্পাদনায় বিশেষ সময় দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা যাবে কীভাবে মাত্র ১২ বছর বয়সে আলতাফ মাহমুদের হাত ধরে চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ পান সাবিনা ইয়াসমিন, প্রথম পারিশ্রমিকের অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক ইতিহাসে কিংবদন্তি হয়ে ওঠার যাত্রা।
এই ডকুফিল্ম শুধু সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের গল্প নয়, বরং বাংলা সংগীতের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ও বটে।