“নির্বাচন হবেই, গণতন্ত্রের লড়াই থামবে না: মির্জা ফখরুলের দৃঢ় বার্তা”
নির্বাচনে কে দায়িত্ব নেবে সেটা বড় কথা নয়, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই এখন মূল লক্ষ্য—বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য


এবিএনএ: “নির্বাচন হবেই—এটা সময়ের দাবি, কে দায়িত্ব নেবে সেটা পরে দেখা যাবে,”—রবিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজিত এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “গতকাল বলেছি, আজ আবার বলছি—গণতন্ত্রের পথরোধ করে রাখা যাবে না। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতেই হবে।”
এইদিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার চত্বরে ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা: সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপিপন্থী কৃষকদল ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। প্রতিটি শহীদের স্মরণে একটি করে নিমগাছ রোপণ করা হয় সেখানে।
মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে বলেন, “শেখ হাসিনাকে ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না। তিনি মানবতার কলঙ্ক, তাঁর বিচারের দিন আসবেই।”
তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে নিহত এক শহীদের মায়ের কান্না তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। তাঁর ভাষায়, “নির্মমভাবে গুলি করে ছেলেকে মেরে ফেলার পর আগুনে পোড়ানো হয়েছে আরও কয়েকজনের দেহ। এই বর্বরতা রাষ্ট্রের পুলিশ প্রশাসনের দ্বারা চালানো হয়েছে—যারা আমাদের করের টাকায় বেতন নেয়।”
এই প্রেক্ষাপটে ফখরুলের স্পষ্ট ঘোষণা, “প্রথমত শহীদদের রক্তের হিসাব চাই। দ্বিতীয়ত, তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো না করলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।”
শনিবারের বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় তিনি আবারও দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, “নির্বাচন দেরিতে হলে সংকট বাড়বে। দায়িত্ব নিতে হবে সাহসিকতার সঙ্গে।”
শেষে তিনি ঘোষণা দেন, শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য বিএনপি একটি তহবিল গঠন করবে এবং এই সংকটকালীন সময়েও দল জনগণের পাশে আছে বলে আশ্বাস দেন।