ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের খুঁজে বের করতে তথ্য নিচ্ছে সরকার: ফারুক-ই-আজম
৯০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যারা সরকারি চাকরি পেয়েছেন—তাদের তথ্য যাচাই করছে সরকার, ভুয়া তথ্যদাতাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা


এবিএনএ: সরকারি চাকরিতে কর্মরত প্রায় ৯০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের তথ্য যাচাই করছে সরকার। এদের মধ্যে কেউ যদি ভুয়া পরিচয়ে চাকরি নিয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তির সংগ্রাম: প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহমান প্রক্রিয়া’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।
ভুয়া পরিচয়ে চাকরি: কঠোর বার্তা
ফারুক-ই-আজম বলেন,
“অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। কেউ কেউ আদালতের মাধ্যমে জাল সনদ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা অর্জন করেছেন— যা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ভূমিকা খর্ব করেছে।”
তিনি জানান, এমন অনেক ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ব্যক্তি ছিলেন শিশুবয়সে, এমনকি জন্মই হয়নি—তবুও তারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেয়েছেন।
“অনেকে ক্ষমা চেয়ে সরে গেছেন, কিন্তু যারা এখনও সুবিধা নিচ্ছেন—তাদের বাদ দিতে আদালতের একীভূত রায় পাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে,”— বলেন উপদেষ্টা।
আদালতের ভূমিকা ও জামুকা প্রশ্নে তীব্র সমালোচনা
তিনি প্রশ্ন তোলেন—“আদালত কীভাবে ঠিক করে দেবে কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে নয়? এটা জামুকার কাজ।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক না হয়ে ন্যায্যতা ও নৈতিকতার প্রশ্ন হওয়া উচিত।
রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন,
“মুক্তিযোদ্ধাদের বিভাজন করা যাবে না। এটা রাজনীতি নয়, জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন।”
সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, এবং বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।