

এবিএনএ: সারা দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও এসময়ে কারও মৃত্যু হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ নিয়ে চলতি বছরে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বরিশাল বিভাগে, যেখানে একাই আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।
নতুন ভর্তি হওয়া ৪২৯ জন রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ছিলেন ৭৪ জন। ঢাকার বাইরে বরিশাল বিভাগে ভর্তি হয়েছেন সর্বাধিক ১৩৩ জন, এরপর চট্টগ্রামে ৭৮, খুলনায় ৫৫, রাজশাহীতে ৪৮, ঢাকার বিভাগীয় এলাকায় (ঢাকা শহরের বাইরে) ২৪ জন, ময়মনসিংহে ১১ ও রংপুরে ৬ জন। তবে সিলেট বিভাগে নতুন কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোট ১ হাজার ২৬২ জন। এদের মধ্যে ৯৩৫ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে এবং ৩২৭ জন রয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে।
মাসওয়ারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ১৬১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১০ জন। ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত হন ৩৭৪ জন ও মৃত্যু হয় ৩ জনের। মার্চে আক্রান্ত ৩৩৬ জন, তবে সে মাসে কোনো মৃত্যুর খবর ছিল না। এপ্রিলে আক্রান্ত ৭০১ এবং মৃত্যু ৭ জনের, মে মাসে আক্রান্ত ১ হাজার ৭৭৩ ও মৃত্যু ৩ জনের। জুন মাসে আক্রান্ত ৫ হাজার ৯৫১ এবং মৃত্যু হয় ১৯ জনের। আর চলতি জুলাই মাসেই এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯২২ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা যায় ২০২৩ সালে—যে বছর আক্রান্ত হয়েছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল রেকর্ড ১ হাজার ৭০৫ জনের। ২০২৪ সালেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল, যখন আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে যদি দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়।