চাল-সবজির দাম বাড়লেও ডিম-মুরগিতে স্বস্তি, বিপাকে খামারিরা
ঈদের পর থেকে রাজধানীতে চাল ও সবজির বাজার চড়া হলেও ডিম ও মুরগির দাম কমেছে, এতে খামারিরা লোকসানে, স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা


এবিএনএ: রাজধানী ঢাকায় কোরবানির ঈদের পরে চাল ও সবজির বাজারে বড় ধরনের দাম বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, চালের দাম প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর ফলে খুচরায় মোটা চাল এখন ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭৪ থেকে ৮০ টাকা এবং মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকাম ও মিল পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণেই খুচরায় এ প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে নওগাঁ, দিনাজপুর ও কুষ্টিয়ার মোকামে চালের মূল্য অনেকটাই বেড়েছে।
একইসঙ্গে সবজির বাজারও এখন ভোক্তাদের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠেছে। কাঁচা মরিচ ১৪০–১৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, গাঁজর ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা ও ঢেঁড়সও ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবজির মৌসুম শেষ হয়ে আসায় সরবরাহ কমেছে এবং তার ফলেই এ দামবৃদ্ধি বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।
শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা চাকরিজীবী সালমান সাকো জানান, “গত দুই সপ্তাহ ধরেই সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে। আজও অনেক বেশি দিয়ে কিনতে হলো।”
এদিকে, স্বস্তির খবরও আছে—ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামও কমে এখন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা প্রতি ডজন। তবে এতে খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, ডিমের লাভজনক দাম কমপক্ষে ১৪০ টাকা দরকার। বর্তমান দর খামারিদের ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তবে মুদি পণ্যের বাজার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। তেল, চিনি, ডাল, ময়দা, সুজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। এমনকি পেঁয়াজ, আলু, রসুন ও আদার দাম কিছুটা কম দেখা গেছে।
চাল ও সবজির দাম বৃদ্ধি ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের হলেও ডিম-মুরগির দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে। কিন্তু এই ভারসাম্যই আবার কৃষক ও খামারিদের জন্য নতুন সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।