এ বি এন এ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে কার্ড প্রদান করা হবে। কার্ডের মাধ্যমে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল এই ৫ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচি দীর্ঘমেয়াদে চলবে। এতে দেশের আড়াই থেকে তিন কোটি লোক উপকৃত হবে। এ দেশে আর কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। এ কর্মসূচি নাম হচ্ছে ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’ এবং শ্লোগান হচ্ছে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।’ এই কর্মসূচি আমার বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম কার্যক্রম।
আজ বুধবার বিকেল ৫টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। এসময় জাতীয় সংসদে বুধবার রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের পক্ষে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইস্রাফিল আলমের উত্থাপিত তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে তখনই জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করেছে। আমাদের সরকারের দারিদ্র্যবান্ধব কর্মসূচি প্রান্তিক জনগণের জন্য নিবেদিত। দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে স্বল্পমূল্যে মহানগর. বিভাগ, জেলা পর্যায়ে ও এমএসখাতে আটা বিক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সেইসঙ্গে আমরা সারাদেশে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি কেজি ১০ টাকা করে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছি। গত ৬ সেপ্টেম্বর আমি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় এ কর্মসূচি উদ্বোধন করছি।