
এবিএনএ: ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণে অনশনে বসেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দুই মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল ও তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের এ অনশন। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ প্রতীকী অনশন চলবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণে মাদুর বিছিয়ে অনশনে বসা নেতাকর্মীদের হাতে দেখা যাচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের রায় বাতিলের দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড। একই দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচিতে আওয়ামী সমর্থকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকাল থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রাঙ্গণে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের কর্মবিরতি আর বিক্ষোভের মধ্যেই সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম চলে। এদিন সকালে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর দোতলায় আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে গ্যাংওয়ে গেটে (সুপ্রিমকোর্টের মূল ভবনে যাওয়ার সংযোগপথ) তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। ফলে অন্য আইনজীবীদের নিচতলার সিঁড়ি দিয়ে আপিল বিভাগে যাতায়াত করতে হয়। এ সময় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন দাবি করেন, সাধারণ আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আদালত বর্জন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। তার আগের দিন জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলার রায়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আর এ মাসেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন সাজার রায় আসে। গত ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের পর থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। তাকে বর্তমানে কারা তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে রাখা হয়েছে।বিএনপির অনশন কর্মসূচি কেন্দ্র করে সকাল থেকে মহানগর নাট্যমঞ্চের আশপাশে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Share this content: