বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

সংলাপে বসতে সরকারই বাধ্য হবে: মওদুদ

এবিএনএ : সময় হলে সরকারই সংলাপে বসতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের প্রথম এবং বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল মোবিনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়ার আয়োজন করে আর্দশ নাগরিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, সংলাপের প্রয়োজন আপনারা অবশ্যই বোধ করবেন। সময় এলে এ সরকার অবশ্যই সংলাপে বসতে বাধ্য হবে। এটা সময়ের ব্যাপার। আন্দোলনের মুখে যখন যে পরিস্থিতিতে যে অবস্থার সৃষ্টি হবে, সে অবস্থার প্রেক্ষাপটেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করার চেষ্টা নিরর্থক হবে।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং তার আগে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে রাখার কোনো সুযোগ নেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মওদুদ বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি থাকার কোনো সুযোগ নাই। আমরা কী তা বলছি? আমরা কী দরখাস্ত করেছি? ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব অবান্তর কথা কেন বলেন। কোনো প্রয়োজন নেই এসব কথা বলার। যখন আন্দোলনের মুখে… যখন যেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সেই অবস্থার প্রেক্ষাপটেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেখানে সংলাপ হতে পারে, সংলাপ ছাড়াও সমস্যার সমাধান হতে পারে। এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপরে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ বলেন, আমাদের সামনের আজ বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন সফল করার জন্য আমাদের সবাইকে এক হতে হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় মাস বাকি থাকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, যদি আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, সত্যিকার অর্থে একটি নির্বাচন করতে চাই, তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। এটা হবে অন্যতম শর্ত। সেই সঙ্গে নির্বাচনের ৯০ দিনে আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, ম্যাজেস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও তুলে ধরেন মওদুদ। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহহিল মাসুদ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

Share this content:

Back to top button