
এবিএনএ : আলোচিত দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুনকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে হাজির হতেই হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে রাজধানীর বনানীর এই হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছিল।
পূর্ব নির্ধারিত মঙ্গলবারই শাহ মো. আদনানকে অধিদফতরে হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
শুল্ক গোয়েন্দায় হাজিরের একদিন আগে সোমবার সকালে আদনানকে তলবের নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে আদেশ জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এরপর দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দেন।
চেম্বার বিচারপতির এই আদেশের পর শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে রেইনট্রি হোটেলের এমডি আদনানের হাজির হওয়ায় বিষয়ে আর কোনো বাধা রইল না।
উল্লেখ্য, বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ, তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত রেহনাম রেগনাম সেন্টারের মালিক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ, সিরাজগঞ্জের হাসান মোহাম্মদ হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল ও সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলীকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন ২৯ মার্চ সকাল ১০টা পর্যন্ত তার এক বান্ধবী ও দুই ছেলে বন্ধুকে গুলশানের রেইনট্রি নামের একটি হোটেলে অস্ত্রের মুখে আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে তাকে ও তার বান্ধবীকে আসামিরা জোর করে হোটেলের রুমে নিয়ে যায়।
সেখানে তাদের মদ পান করানোর পর এক নম্বর আসামি সাফাত আহমেদ তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর বান্ধবীকেও একাধিকবার ধর্ষণ করে দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফ।
ধর্ষণের ঘটনাস্থল রেইনট্রি হোটেলের মালিক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বি এইচ হারুনের পরিবারের সদস্যরা। হোটেলের চেয়ারম্যান হলেন বি এইচ হারুনের ছেলে শাহ মো. নাহিয়ান হারুন এবং এমডি আরেক ছেলে শাহ মো. আদনান হারুন।
এছাড়া হারুনের স্ত্রী মনিরা হারুন, ছেলে মাহির হারুন এবং মেয়ে হোমায়রা হারুন হোটেলটির পরিচালক পদে রয়েছেন।
Share this content: