এবিএনএ : সোমবার উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাকে ব্যর্থ বলে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে উত্তর কোরিয়ার পাল্টা দাবি, পরীক্ষা সফল হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, দেশটির নেতা কিম জং-উন নতুন আরেকটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষা চালানোয় গভীরভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এটিকে দেশের জন্য ‘বড় সফলতা’ হিসেবে দেখছেন। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে কিম জং উন ‘অত্যন্ত উৎফুল্ল’ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কেসিএনএ প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে উৎক্ষেপণ স্থলের কমান্ড কেন্দ্রে কিমকে হাসিমুখে দেখা গেছে। তিনি সেখান থেকে এ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করছেন। সেখানে তাকে ঘিরে থাকা অনেক সৈন্য ও বিজ্ঞানীদের উৎফুল্ল দেখা যাচ্ছে।
কেসিএনএ আরও জানায়, কিমের ‘ব্যক্তিগত দিক নির্দেশনায় রোববারের এ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হয়। এটি ছিল ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র। এর নাম পুকগুকসং-২।
দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, ট্রাম্পের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানাতেই উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। গত অক্টোবরের পর এটি ছিল পিয়ংইয়ংয়ের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মিত্র দেশ জাপানের প্রতি একটি হুমকির শামিল।
এদিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে এ বৈঠক ডাকা হয়। পরিষদের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী দেশ ইউক্রেন জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বৈঠক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় নিন্দা প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার মিত্র দেশ চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সম্পূর্ণ লংঘন বলে উল্লেখ করেছে। সোমবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং সুয়াং এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একে-অপরকে উত্তেজিত করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে কোরিয়া দ্বীপে সংকট সৃষ্টি করা উচিত নয়।