এবিএনএ : বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন করা ছাড়া উপায় ছিল না।
সিইসি মন্তব্য করেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমরা অনেক কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। সেগুলো আমরা সফলতার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড আমরা গতিশীল করেছি। আমরা সাফল্যের সঙ্গে ছয়টি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।’
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারের সম্মেলনেকক্ষে অনুষ্ঠিত বিদায়ী সংবাদ সম্মেলন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন এসব কথা বলেন।
২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হলো এই নির্বাচন কমিশনের। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ, মোহাম্মদ আবু হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সমঝোতা না হওয়ায় আমাদের জন্য নির্বাচন করা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে যায়। তখন জাতির ক্রান্তিলগ্ন, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদের নির্বাচন করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো দেশজুড়ে সহিংস কার্যক্রম চালিয়ে জান–মালের ক্ষতি করছিল, তখন নির্বাচন না হলে অসাংবিধানিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। তাই নির্বাচন করতে গিয়ে কর্মকর্তারা অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁদের সাহসিকতায় দেশে আজ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।’
এই সংসদে দেড় শতাধিক সাংসদ বিনা প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিনা প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার বিষয়টি আইনেই আছে। মাঠ ছেড়ে দিলে তো প্রতিপক্ষ গোল দেবেই। এটা রাজনীতির খেলা। উন্নত বিশ্বে এর চেয়ে অনেক বেশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের রেকর্ড আছে।’
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা যে খারাপ হয়ে গেছে, এমন অভিযোগের বিষয়ে রকিবউদ্দীন বলেন, ‘আমরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে দুর্বল অবস্থায় নিয়ে যাইনি। দেশে কথায় কথায় মারামারি বেড়ে গেছে। এটা এক ধরনের সামাজিক অবক্ষয়। মানুষের মধ্যে সহিষ্ণুতার অভাবের কারণে হানাহানি বেড়েছে। নতুন কমিশনের সবাই অভিজ্ঞ, তারা সফল হবে এটাই আমরা আশা করি।’
নির্বাচন কমিশনে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা শপথ নেবেন ১৫ ফেব্রুয়ারি। নিয়োগ পাওয়া এই পাঁচজন হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম ও মো. রফিকুল ইসলাম।