,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

যুক্তরাষ্ট্র সাউথজার্সী মেট্রো আ’লীগের হালচাল, চলছে ভানুমতির খেলা ! ……. (পর্ব-৩)

এবিএনএ : গ্রুপিং লবিং পাল্টা-পাল্টি সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথজার্সি মেট্রো আ’লীগের অবস্থা হ য ব র ল । মেট্রো আ’লীগ এখন ত্রীমূখী অবস্থানে। আ’লীগের সাধারন নেতা কর্মী ও সমর্থকরা দিশেহারা। গত ২০ জিসেম্বর তারিখের বিজয় দিবসের একটি অনুষ্ঠনে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উপস্থিত হওয়ায় সাউথজার্সি মেট্রো আ’লীগে তিনটি গ্রুপ এখন মারমূখী অবস্থানে। কিছুদিন আগে সাউথজার্সি মেট্রো আ’লীগের সভাপতি সিরাজুদৌল্লা ভূইয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত সাংগঠনিক মূলধারার গ্রুপটির বিজয় দিবসের নির্ধারিত অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট আ’লীগের সভাপতি বাংলাদেশ থেকে অনুরোধ করে বন্ধ করান। এবং তিনি আস্বস্ত করেন ২০ তারিখের আগে সবাইকে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করবেন। কিন্তু তিনি বাংলাদেশ চলে যান। তার অবর্তমানে ২০ তারিখ বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও ভারপ্রপ্ত সভাপতি তথাকথিত একটি গ্রুপে অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে যোগ দেয়। যেখানে সাউথজার্সি মেট্রো আ’লীগের মূল কসিপির ১০/১১ জন সদস্য ছিলেন মাত্র্র। সংজফনের সহসভাপতিসজ উল্লেখযোহ্য পদাধিবারী ৬০/৬৫ জন অনুষ্ঠানটি বয়তকট করেন। অনুষ্ঠনটি বয়কট করেন। অন্যদিকে সাউথজার্সি মেট্রো আওয়ামীলীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের ভূইয়ার তত্বাবধানে পরিচালিত রফিক, ইমরান, কামাল, ফারুক হিসাবে পরিচিত গ্রুপটি ২৯ এ ডিসেম্বর স্থানীয় মি: ষ্টেক এ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। সেখানে ও যুক্তরাষ্ট্রের কোন নেতা কর্মী আসে নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, ভাই বাংলাদেশ থেকে রাজনীতি করে আসেন আর এখানে মাঠ কাপান, লোকে লোকারান্য করে দেন, লাভ নাই। তিনি বলেন ৮ বছর ধরে এখানের রাজনীতি দেখছি মাল্টু আছে যার (টাকা) রাজনীতি তার। তিনি ক্ষিপ্ত স্বরে বলেন দেখেন না ২টি গ্রুপকে বাদ দিয়ে রাজাকার খ্যাত গ্রুপে মাল্টু (টাকা) খেয়ে আজাদ দৌড়ে এসেছে। দেখেননি জনরোষের ভয়ে ৪ জন সিকিউরিটি নিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশে বসে দল পরিচালনা তাও আবার আমাদের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সিকিউরিটি, এ লজ্জা কোথায় রাখি? সমসাময়িক সাউথজার্সি মেট্রো আ’লীগ নিয়ে কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা তাহের ভূইয়া তত্বাবধায়নে পরিচালিত একাধীক নেতার সাথে নেতৃত্বে থাকা প্রথমসারীর নেতা ও সাবেক চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা রফিক বলেন এখানে যে প্রক্রিয়ায় কমিটি দিয়েছিল ঐ প্রক্রিয়াটি ভূল ছিল আমরা সবাই মিলেমিশে ভাল ছিলাম কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আ’লীগের নেতারা সেই দিন হাতেগোনা ১০-১২ জনকে গোপনে নিউইয়ার্কে ডেকে একটি কমিটি দেয়, যাহা এখানের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ঘৃনা ভরে প্রত্যাখান করেছিল। সেই দিন থেকে আমরা নিজেদের মধ্যে থেকে নেতৃত্ব বেছে নিয়ে দল পরিচালনা করছি। আশাকরি ড. সিদ্দিকুর রহমানের এখানে দেওয়া কমিটির মেয়াদ শেষ নতুন কমিটির ব্যাপারে সবাইকে নিয়ে বিগত দিনের কথা ভূলে একযোগে কাজ করবেন। এ প্রসংঙ্গে সাউথজার্সি মেট্রো আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা উগ্যোক্তাদের অন্যতম ইমরান ভূইয়া বলেন, এখানে কোন সংগঠন ছিলনা দীর্ঘ ২০ বছর আমনা ১০/১২ জন মিলে আ’লীগের অনুষ্ঠান পরিছালনা করতাম। তার পর নিজে উদ্যেগ নিয়ে ২-৪ জনের সাথে কথাবলে নানা চরাই উৎরাই ফেরিয়ে ২গগ৯ সালে প্রতিষ্ঠা হলো সাউথজার্সি মেট্রো আ’লীগ। আর সেই কমিটিতে এই শহরে যারা প্রকৃত আ’লীগ করে বা করতো গুটি কয়েক লোকছাড়া পুরানো দিনের ত্যাগী নেতা কর্মীরা নাই। অথচ ঠাই হয়েছে শিবির খ্যাত লোকজনের। এটা অত্যন্ত দু:খের। তৎকালিন সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমানের সাথে অনৈতিক লেনদেনর মাধ্যমে ড. সিদ্দিকুর রহমানকে ভূল বুঝিয়ে কমিটি পাশ করিয়ে নেয়। যাহা ছিল ত্যাগী নেতা কর্মীর বুকে ছুরি মারবার সমান। তিনি আরও বলেন কমিটি পাশ করবার পর হতে এই দীর্ঘ ৪ বছরেও একটি মিটিং এ ও কোরাম ফুরেনি। আর এখন ঐ গ্রুপের অবস্থা শোষনীয়। আশাকরি অচিরেই ড.সিদ্দিকুর রহমান ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। এদিকে অসন্ন্য ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর সদ্বেশ প্রত্যবর্তন দিবস উপলক্ষে সাউথজার্সি মেট্রো আ’লীগের সভাপতি সিরাজুদৌল্লা ভূইয়ার নের্তৃত্বে স্থানীয় সালিমার রেষ্টুরেন্টে কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় ঐ সভা সংগঠনের সাধারন সম্পাদক জসীম উদ্দীন অন্য অঙ্গরাজ্যে থাকায় ১নং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো: শহিনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক করা হয় সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে। এবং আগামি ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা আহব্বান করা হয়। যেখানে স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকলকে আমন্ত্রন জানানো হয়। এরপর থেকেই মেট্রো আওয়ামীলীগের ৩নং গ্রুপটি যেটি শহিদ খান গ্রুপ বলে খ্যাত মরিয়া হয়ে উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মধ্যম সারির তরুন নেতা বলেন শহিদ ভাই, সামসু ভাই, সাব্বির ভাই গোপনে মানুষের সাথে আলোচানা করে বলছে ১মাসের মধ্যে কমিটি নিয়ে আসবো। গোপনে তারা বলছে আপনার কোন পদ লাগলে বলেন আ’লীগ-বিএনপি জামায়াত চিনিনা প্রবাসে। তিনি আরও বলেন নিউয়ার্কে থাকা সংগঠনের সাধারন সম্পাদক জসিমের সাথে এ ব্যাপারে চুক্তি ফাইনাল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আজাদের সাথে। অপরদিকে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় ২০০৯ সালে তৎকালিন যুক্তরাষ্ট আওয়ামীলীগ সভাপতি কর্তৃক অনুমোদিত সাউথজার্সি মেট্রো পলিটন সিটি আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি খালিদ হাসান, সহসভাপতি মন্টু সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর, কোশাধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের সাথে তারা জানান আমরা বর্তমান কমিটিতে না থাকলে আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক ভাবে চললে আমাদের ভাল লাগবে। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের সাথে বলেন আ’লীগের এখানে যে অবস্থা তাহা অত্যন্ত হাস্যকর। তারা আরও বলেন আমরাই এখানে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আজ আমরা নাই। তবে আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত শিমূল বর্তমান কমিটিতে আছেন তার সাথে মাঝে মধ্যে কথা হয় তার সাংগঠনিক দক্ষতা নের্তৃত্ব প্রদানের সক্ষমতা নেতা-কর্মীদের আস্তা ও বিস্বাস অর্জনের দুরদর্শিতা আছে। আশা করি স্থানীয় পর্যায়ে সবাইকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট আ’লীগের সাথে আলোচনা করে একটি সাংগঠনিক সমাধান করতে পারবে। আর এমনটি হলে আমরা আবারও বেগবান স্রোতের মত এগিয়ে যাব জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে। এ প্রসংঙ্গে মেট্রো আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সহ দপ্তর সম্পাদক যথাক্রমে রুবায়েত ও সৈয়দ আম্বিয়া অভিন্ন সুরে বলে এই সংগঠনটিকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। দলের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদের কে পাশ কাটিয়ে অন্য অঙ্গরাজ্যে থাকা সাধারন সম্পাদক জসিম ও ৪ জন সদস্যকে গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আ’লীগের সভাপতি ড.সিদ্দিকুর রহমান সাহেব এখানে একাধিক গ্রুপের জন্ম দিয়েছেন। তারা বলেন আমরা সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী আমাদের সভাপতি সিরাজুদৌল্লা ভূইয়ার নের্তৃত্বে আছি। তারা এ ব্যাপারে ড.সিদ্দিকুর রহমানের দৃষ্টি আর্কষন করে বলেন আপনি অতিসত্বর আটলান্টিক সিটিতে এসে আপনার কমিটির সভাতির নের্তৃত্বে গুরুত্বপূর্ন পদাধীকারে যারা আছেন ও অপর একটি গ্রুপের নের্তৃত্বে দানকারী ত্যাগী নেতাদের নিয়ে বসুন তাহলে এই সমস্যার দূরীভূত হবে। এ প্রসঙ্গে রফিক ইমরান গ্রুপ খ্যাত অন্যতম নেতা কামাল বলেন ড.সিদ্দিকুর রহমানকে এখানে এসে সবাইকে নিয়ে বসে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি দিতে হবে। তিনি বলেন নিউইয়ার্কে বসে অনৈতিক ভাবে অসাংগঠনিক লোককে দিয়ে কমিটি দিলে এবারের আন্দোলন হবে ভয়াবহ। তিনি নিউইয়ার্কে থাকা জসিমকে ইঙ্গিত করে বলেন ওখানে বসে অনৈতিক ভাবে নেতাদের ম্যানেজ করে আর টেলিফোনে মানুষকে পদের লোভ না দিয়ে এখানে এসে ত্যাগী নেতা কর্মীদের নিয়ে কমিটি দিতে হবে। এ ব্যাপারে আ’লীগ নেতা হুমায়ুন শিকদার, সুজন দাস, আ’লীগ কর্মী জাহানারা, চন্দনা, সুলতানা জামান, সুকলা সহ অনেকে বলেন বঙ্গবন্দুর আদর্শে পরিচালিত আ’লীগ আর তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নের্তৃত্বে আমাদের অবিচল বিশ্বাস আছে। তারা আরও বলেন ড. সিদ্দিকুর রহমানের উচিৎ এতদিন যাদের কানকথা শুনেছেন তাদেরকে জবাবদিহীতার মধ্য আনা। কারন হিসাবে তারা বলেন তিনি যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের কারনে দলের আজ ৩/৪ গ্রুপ অথচ সিদ্দিকুর রহমানের আগে যারা নের্তৃত্ব দিয়েছেন তারা এখানে এত অসাংবিধানিক ভাবে কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেননি। তারা জানান এই সিটিতে অসংখ্য ত্যাগী নেতা ও সাংগঠনিক বিষয়ে পরিপক্ক লোক থাকতে জনাব সিদ্দিক সাহেব কেন যে এ তোষামোদকারী মতলব বাজদের প্রশ্রয় দেয় এটা তারা বুঝেন না। তারা এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে ড.সিদ্দিকুর রহমানের কাছে আবেদন জানান দ্রুত এসে দক্ষ, ত্যাগী, সাংগঠনিক লোকদেরকে গুরুত্ব দিয়ে, দালালদের বিতারিত করে, ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের ভাবমূর্তি পিরিয়ে আনুন। এবং যাদেরকে সাথে নিয়ে চললে আপনি ও আ’লীগ লাভবান হবে তাদেরকে আপনার সাথে চলতে দিন। আর যাদের নিয়ে বির্তকে আপনি ও আ’লীগের সুনাম ক্ষুন্য হবে তাদের বর্জন করুন। (চলবে)

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Director: Akbar Hossain
Executive Editor: Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsusa@gmail.com
Usa Office: 289 West Koach Avenue, Egg harbor City, New Jersey-08215, Bangladesh Office : 60/1. Purana Paltan (2nd Floor), Dhaka-1000, Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801711040113, +8801912-621573
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited