কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু খুন হওয়ার পর তার মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘ভুল’ ছিল বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ডিএনএ পরীক্ষায় তনুকে ধর্ষণের যে আলামত পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমে যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছিল, সেটায় একটু বিভ্রান্তি এবং ভুল ইনফরমেশন থাকায় দীর্ঘসূত্রতা লাভ করেছিল।’
এ বি এন এ : গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর লাশ পাওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ধর্ষণের সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ মার্চ প্রথম দফা তনুর লাশের ময়নাতদন্ত হয়। তবে তার প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার কথা জানান চিকিত্সকরা। পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ তুলে তনুর দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করেন চিকিত্সকরা, যার প্রতিবেদনে এখনও পাওয়া যায়নি।
তবে ঘটনার তদন্ত করা সিআইডি ঘটনার যেসব আলামত সংগ্রহ করেছিল সেসবের ডিএনও পরীক্ষা করে খুনের আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে।
গত ১৫ মে সিআইডির কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা বিশেষ সুপার নাজমুল করিম খান বলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষায় কয়েকজন পুরুষের বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।’
শিল্পমন্ত্রী আমু বলেন, ‘ডিএনএ টেস্টে ধর্ষণের আলামত এবং এতে তিনজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সেভাবেই এখন তদন্ত করা হচ্ছে এবং ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’