জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

এবিএনএ : জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতির দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার। অপর দিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ দেন। তবে আদালত বলেছেন, মামলা চলাকালে ভবিষ্যতে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে’
এর আগে সকাল সোয়া ১১টার দিকে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ চলছে। নির্ধারিত তারিখে হাজির না থাকায় গত ১২ অক্টোবর এই দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই দিনে পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকার অন্য একটি আদালত খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে গত ৯ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ১৫ জুলাই চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সময়মতো হাজির না হওয়ার কারণে তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা ও কুমিল্লার আদালত। নানা জল্পনা-কল্পনা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ১৮ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৫টায় দেশে ফিরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
Share this content: