জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

কলেজে শিক্ষকের লাশ নিতে বাধার অভিযোগ, ১৪৪ ধারা

এবিএনএ : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত শিক্ষকের মরদেহ কলেজে আনতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলা সদরের জোববাড়িয়া থেকে ভালুকজান পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কোনো সভা, সমাবেশ, মিছিল ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কলেজের সামনে পুলিশের পাহারা। ছবি: জগলুল পাশাময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে গতকাল পুলিশের সংঘর্ষ হয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, এতে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন। কলেজের ভেতর আহত শিক্ষকেরা অনেক সময় ধরে আটকে ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পরে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর খবর আসে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ধাওয়ায় নিহত হন সফর আলী নামের আরও একজন। পুলিশের দাবি, শিক্ষক আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। আর অপর ব্যক্তি ঘটনাস্থলের কিছু দূরে মারা গেছেন।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কলেজ শিক্ষক ফজলুল হককে লাঠিপেটা করে l ফাইল ছবি: প্রথম আলোফুলবাড়িয়া কলেজ জাতীয়করণ দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক এস এম আবুল হাসেম বলেন, গতকাল রাতে নিহত শিক্ষকের লাশ পুলিশ পাহারায় ময়মনসিংহ শহরের সানকিপাড়া এলাকায় তাঁর বাড়িতে রাখা হয়। আজ সকালে ফুলবাড়িয়া কলেজে তাঁরা শিক্ষকের লাশ আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ নিষেধ করে। পুলিশ পাহারায় শিক্ষকের মরদেহ তাঁর নিজ বাড়ি নান্দাইল উপজেলার কাদেরপুর গ্রামে নেওয়া হয়। আজকেই শিক্ষকের মরদেহ দাফন করার কথা।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনের একপর্যায়ে গতকাল শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন l ছবি: জগলুল পাশাঅভিযোগ অস্বীকার করে ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান বলেন, শিক্ষকের মরদেহ আনার বিষয়ে কলেজের পক্ষের সঙ্গে তাঁদের কোনো কথা হয়নি। গতকাল পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টিও তিনি জানান।

১৪৪ ধারা জারির কারণে ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদর থেকে ঢাকার সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশপাশের এলাকায় যান চলাচলও সীমিত। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

Share this content:

Back to top button