এ বি এন এ : ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ইস্যুতে হিলারি ক্লিনটনের ওপর আবারও চড়াও হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে হিলারির সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, তিনি সরকারি দায়িত্বের জন্য অযোগ্য।
হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত কারণে দেখা করা লোকদের অর্ধেকের বেশি ব্যক্তি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছিলেন—বার্তা সংস্থা এপির এ মর্মে প্রতিবেদনের কয়েক ঘণ্টা পর ওই কথা বলেন ট্রাম্প।
টেক্সাসের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের অনিয়মের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারির নৈতিকতার বিষয়টি আবার প্রশ্নবিদ্ধ হলো। তিনি বলেন, হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কূটনীতিক থাকা অবস্থায় যাঁরা ব্যক্তিগত কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের অনেকে নিজে বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘কোথায় ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের শেষ এবং কোথায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শুরু, তা চিহ্নিত করা খুব কঠিন। কারণ, তিনি সরকারি পদ ব্যবহার করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন।’
কয়েক সপ্তাহ ধরে নানা সমালোচনায় জর্জরিত হওয়া ট্রাম্প শিবির ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ইস্যুতে হিলারিকে চাপে ফেলতে চাইছে। এর মাধ্যমে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি উন্নত করতে চাইছে তারা।
এপির খবরে বলা হয়েছে, হিলারির যে ১৫ হাজার ব্যক্তিগত ই-মেইল ফাঁস হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, শীর্ষ অনুদানদাতাদের সঙ্গে তাঁর সব সময় যোগাযোগ ছিল।
এপির খবরের ওই বক্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি হিলারি ক্লিনটন। তবে তাদের বিশ্লেষণ ‘ত্রুটিপূর্ণ’ তথ্য-উপাত্তনির্ভর বলে মন্তব্য করে হিলারির নির্বাচনী শিবিরের মুখপাত্র ব্রায়ান ফ্যালোন বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারির দায়িত্ব পালনের মাত্র অর্ধেকটা সময় এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর বৈঠকগুলোকে ভুলভাবে উপস্থাপন ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।