এ বি এন এ : ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৮ সালের মধ্যে ৫০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর তৈরি করে দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘সারাদেশের খাস জমি খুঁজে বের করে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হবে। এতে যত টাকা লাগুক, সরকার দিবে।’
ভূমি মন্ত্রণালয়াধীন গুচ্ছগ্রাম-২য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের পুনর্বাসনে করণীয় বিষয়ে দিনব্যাপী সেমিনারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাটাবনে ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত এ সেমিনারে ভূমি সচিব মেছবাহ-উল-আলম বিশেষ অতিথি ছিলেন। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব-উল-আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে সারাদেশ থেকে আগত এডিসি, আরডিসি, ইউএনও, এসিল্যান্ড, পিআইও পদে কর্মরত ৪৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। এ সময় ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোহাম্মদ শাহেদ সবুর, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক একেএম নূরুল আমিন সরকার, ভূমিপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপপরিচালক এ.আর.এম. খালেকুজ্জমান উপস্থিত ছিলেন।
খাস জমি যেখানে যতটুকু আছে আগে দ্রুত সেগুলো খুঁজে বের করুন। খাস জমির সঠিক তথ্য দিতে কেউ গড়িমশি করলে তাদের তিরস্কার করা হবে বলেও তিনি হুশিয়ার করে ভূমিমন্ত্রী শরীফ বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নের বড় বাধা খাস জমি খুঁজে বের করা। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাস জমি রয়েছে। গৃহহীন ও ভূমিহীনের জন্য জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এমন অজুহাত কেউ দেখাবেন না।’
প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি ২০১৬ সালে অন্তত ৮০০ গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর তৈরি করে দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। প্রতিটি গুচ্ছগ্রামে বিদ্যুতের আলো দেওয়া হবে।’