জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

পদ্মাপারের রুটি আর আড্ডায় সেতুমন্ত্রীর এক সকাল

এবিএনএ : শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টা। রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর পদ্মার পার। শহররক্ষা বাঁধের ওপর দোকান বিছিয়ে সবে কালাই-রুটিতে তা দেওয়া শুরু করেছেন দোকানি। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সেখানে উপস্থিত মন্ত্রী! তিনি দোকানে এসে বসলেন, গরম গরম কালাই রুটি খেলেন। সঙ্গে প্রাণখোলা আড্ডায় মেতে উঠলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দুই দিনের রাজশাহী সফরের দ্বিতীয় দিন সকালটা ছিল এমনই।

শনিবার সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউস থেকে হাঁটতে বের হন মন্ত্রী। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে আড্ডা দেন, শোনেন তাদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের কথা। পরে কালাই রুটি খাওয়ার ছবি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও একজন মন্ত্রীর এমন আচরণ মুগ্ধ করেছে রাজশাহীবাসীকে।

কালাই রুটি দিয়ে নাশতা করছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: মন্ত্রীর ফেসবুক থেকে নেওয়াপরে শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি বলেন, ‘এই সিকিউরিটি বলে মানুষের সঙ্গে মিশব না, এটা হতে পারে না। আজ সকালে কালাই রুটি খেতে গিয়েছিলাম। তো এক লোক এসে আমাকে বলল, আপনাকে আমি দেখলাম যে ভোরবেলা উঠে এখানে এসেছেন, হাঁটছেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন, কালাই রুটি খাচ্ছেন। আরেকজন পলিটিশিয়ানরে তো সকালবেলা দেখি না। নেতারা তো সকালবেলা ঘুম থেকেই ওঠে না।’

নাশতা সেরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: মন্ত্রীর ফেসবুক থেকে নেওয়াওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সকালবেলা ফোন করে শেখ হাসিনাকে পাই, নেতাদের পাই না, পাই না, পাই না। সকালবেলা উঠতে হবে। সকালবেলা উঠলে দেখবেন অনেক কাজ করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমি বলতাম আমার মায়াবী শহর চট্টগ্রাম। এখন আমি বলি আমার মায়াবী শহর রাজশাহী।’ তিনি বলেন, ‘আবার রাজশাহী আসলে, আবার কালাই রুটি খাব। রাজশাহীর প্রেমে পড়ে গেছি, না এসে পারব না।’

‘আমার আর দেবার কিছু নেই,
আছে শুধু ভালোবাসা, রেখে দিলাম তাই।
আবার যদি ইচ্ছে করে আবার আসিব ফিরে,
দুঃখ-সুখের ঢেউখেলানো পদ্মানদীর তীরে।’

উপস্থিত নেতা-কর্মীদের এই কবিতা শুনিয়ে বক্তব্য শেষ করেন ওবায়দুল কাদের।

Share this content:

Back to top button