এ বি এন এ : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশসহ ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা সফররত জোটের মহাসচিব আইয়াদ আমিন মাদানি।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানের কথা জানান।
মাদানি বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় ওআইসি সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই।
তিনি বাংলাদেশসহ ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে সন্ত্রাস দমনে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তরুণরা কেন এ ধরনের সন্ত্রাসে জড়াচ্ছে, তার মূল কারণ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
ওআইসি মহাসচিব বলেন, তরুণদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে, এমনভাবে সন্ত্রাস চালালে, মারা গেলে পরকালে পুরস্কার পাবে। এভাবে তরুণদের বিপথগামী করা হচ্ছে।
মহাসচিব জানান, ইরাক-সিরিয়া-লিবিয়াসহ সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের জন্য ওআইসি পদক্ষেপও নিচ্ছে।
বৈঠকে মাদানিকে প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস এখন বৈশ্বিক সমস্যা। আমার পরিবারও সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামের নামে তারা মানুষ হত্যা করছে। এর মাধ্যমে তারা ইসলামের বদনাম করছে। তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে ইসলাম হেয় হচ্ছে। এ ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ওআইসি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে।
সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানকার সংঘাতে জড়ানো পক্ষগুলো একত্রে বসতে পারে এবং আলোচনা করে নিজেরাই অন্যদের হস্তক্ষেপ ছাড়া সমস্যার সমাধান করতে পারে।
সন্ত্রাস মোকাবেলায় ওআইসির পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে বৈশ্বিক সন্ত্রাস, মুসলিম দেশগুলোতে অন্তর্ঘাতমূলক সংঘাত এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) স্থায়ী পর্যবেক্ষক মিশনে ওআইসির দূত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ইসমত জাহান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদিন প্রমুখ।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।