এ বি এন এ : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘শিক্ষকদের নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন সমাজ তাদের গ্রহণ করে।’ তিনি বলেন, চরিত্র, জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতায় তাদেরকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে রোল মডেল হতে হবে। তখন সমাজই তাদের সুযোগ, সুবিধার কথা বলবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স পরিচালনাকারী কলেজসমূহের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন’ শীর্ষক মত বিনিময় সভায় তিনি আজ এ কথা বলেন।
বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। এ দু’বিভাগের সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ আলোচনায় অংশ নিয়ে তাদের ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা তুলে ধরেন।
শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষামন্ত্রী নিজেকে কর্মী বা যোগালি উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা, শিক্ষকরাই হলেন শিক্ষার মূল নিয়ামক শক্তি। এর মানোন্নয়নে কি করণীয়, বিশেষ করে শিক্ষাদান পদ্ধতি, সাবজেক্ট বাছাই ইত্যাদিতে আপনাদের মতামতকেই প্রাধান্য দেয়া হবে।’
তবে আমাদের দেশ দরিদ্র এবং শিক্ষায় বাজেটও সীমিত, শিক্ষকদের এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে আপনাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অপ্রয়োজনীয় বিষয় খুলে রাখবেন না। যেসব বিষয়ের ডিমান্ড আছে, শুধু সেসব বিষয়ই চালু রাখবেন।’
শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা যাবে না, এমন হুশিয়ারি উচ্চরণ করে নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। ক্লাসেই সম্পূর্ণ সিলেবাস পড়াতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘কোন শিক্ষার্থী যদি স্বেচ্ছায় পড়তে চায়, তাহলে সীমিত আকারে তাদের কলেজ ক্যাম্পাসে পড়াতে হবে, বাইরে নয়। এছাড়া প্রাক্টিক্যাল ক্লাস না করিয়ে, পরীক্ষা না নিয়ে নম্বর দেয়াও যাবে না।’ এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে ওই শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।