এবিএনএ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আকতার জাহান জলির আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তার সহকর্মী একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিকুর রহমান রাজাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জলিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজাকে নিয়ে যায় পুলিশ। তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) আমির জাফর জানান, আতিকুর রহমান রাজাকে জিজ্ঞাসাবাদে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে পুলিশের কাছে মনে হয়েছে, আকতার জাহান জলির আত্মহত্যার পেছনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আতিকুর রহমান রাজার প্ররোচনা রয়েছে।
তিনি জানান, গত ছয়-সাত বছর ধরেই আকতার জাহান জলির সঙ্গে তার সহকর্মী আতিকুর রহমান রহমান রাজার ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শেষের দিকে মনোমালিন্য চলছিল। এছাড়া পুলিশের তদন্তে দেখা যায়, শেষের দিকে তাদের সম্পর্ক খারাপ চলছিল। এ বিষয়ে আকতার জাহান জলির মোবাইল ফোনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া জলির আত্মহত্যায় রাজার প্ররোচণা রয়েছে— পুলিশের তদন্তে এমন তথ্য রয়েছে। প্ররোচণা মামলায় রাজাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, এ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে জলির সাবেক স্বামী একই বিভাগের শিক্ষক তানভীর আহমদের ভিন্ন রকম চরিত্র বেরিয়ে এসেছে। তবে এ মামলায় তাকে জড়ানোর মতো কোনো আলামত এখনো তদন্তে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের নিজের আবাসিক কক্ষের দরজা ভেঙ্গে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সেই কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট ও কীটনাশকের বোতল উদ্ধার করে পুলিশ।