এ বি এন এ : রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দুদকের কার্যকারিতা নিয়ে জনগণের আস্থা খুবই কম।
রোববার রাজধানীতে টিআইবির ধানমন্ডির কার্যালয়ে সংস্থাটি ‘দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ উদ্যোগ : বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য দুদককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিকদের ক্ষেত্রে দুদক নমনীয় বলে জনগণ মনে করে। এক গবেষণায় ২০১৫ সালে দেখা যায়, তদন্তাধীন ৩৬ ব্যক্তির মধ্যে ১৬ জন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলের এবং তিনজন ক্ষমতাসীন দলের। দুদককে পুরোপুরি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ মনে করা হয় না।
গবেষণায় দেখা গেছে, সার্বিক বিবেচনায় দুদক মধ্যম স্কোর পেয়েছে। ১০০ এর মধ্যে দুদকের স্কোর ৬১.২২ শতাংশ। ৫০টি নির্দেশকের মধ্যে ২১টি নির্দেশকে উচ্চ, ১৯টি মধ্যম এবং নয়টিতে নিম্ন স্কোর পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে জনগণের ধারণা সূচকে দুদক সবচেয়ে কম স্কোর পেয়েছে। এই নির্দেশকে দুদক ২৮.৫৭ শতাংশ স্কোর পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।