অন্তঃসত্ত্বা মহিলার রক্তচাপই বলে দেবে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে!

এবিএনএ : অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মহিলাদের রক্তচাপের তারতম্যই বলে দেবে ছেলে হবে না মেয়ে! অর্থাৎ ওই সময়ে রক্তচাপ বেশি হয়ে থাকলে ওই মহিলা পুত্র সন্তানের জন্ম দেবেন, আর রক্তচাপ কম হলে কন্যা সন্তানের। সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশন-এ দাবি করা হয়েছে এমনটাই।
ভারতে লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত অপরাধ। কন্যাভ্রুণ হত্যা রুখতে লিঙ্গ নির্ধারণের উপরে আইন করে এই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। কিন্তু আমেরিকাতে তা নয়। কানাডার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের চিকিৎসক রবি রেত্নাকরণ কয়েক হাজার মহিলার উপরে পরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।
১,৪১১ জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার উপরে এই সমীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। শিশুর জন্ম দেওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত ওই মহিলাদের রক্তচাপ পরীক্ষা করে একটি ডেটাবেস তৈরি করা হয়। পাশাপাশি, লক্ষ রাখা হয় কোলেসস্টরল, সুগার এবং হরমোন মাত্রার ওঠানামার উপরেও। সব মিলিয়ে ওই মহিলারা ৭৩৯ জন ছেলে এবং ৬৭২ জন মেয়ের জন্ম দেন। পরে ওই পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখা যায়, যে সমস্ত মহিলারা পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন তাঁরা প্রত্যেকেরই উচ্চ রক্তচাপ ছিল। আর যাঁদের তুলনামূলক ভাবে নিম্ন রক্তচাপ ছিল তাঁরা কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
যদিও রবি রেত্নাকরণের এই পরীক্ষা কতটা বিজ্ঞানসম্মত তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কী ভাবে রক্তচাপের উপর বিষয়টিকে নির্ভরশীল তা নিয়ে স্পষ্ট করে কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও ওই জার্নালে উল্লেখ করেননি রবি।
সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে তা নিয়ে বহু কাল ধরেই নানামত সামনে এসেছে। ২০০৯ সালে এক দল গবেষক লিঙ্গ নির্ধারণের উপরে নিরক্ষরেখার প্রভাবের কথা বলেছিলেন। নিরক্ষরেখা থেকে দূরত্ব যত কমবে কন্যা সন্তান জন্মানোর প্রবণতা নাকি তত বাড়বে। তারও আগে আঠারো শতকে ফান্সের এক চিকিৎসক এর জন্য শুক্রাশয়কে দায়ী করেছিলেন। কোনও পুরুষ যদি পুত্র সন্তান চান তাহলে তাকে বা-দিকের শুক্রাশয় বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। আর মেয়ে চাইলে ডান দিকের শুক্রাশয় বাদ দিতে হবে। যদিও এখন পর্যন্ত এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেলেনি।
Share this content: