এ বি এন এ : যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ড ক্রয়ে ১২তম অবস্থানে আছে ভারত। ওয়াশিংটন প্রকাশিত তথ্য এ কথা জানা যায় বলে জানিয়েছে এবিএনএ ।
এবিএনএর এক প্রতিবেদনে জানায়, ওয়াশিংটন প্রকাশিত তথ্যানুসারে ভারত যুক্তরাষ্ট্রর কাছ থেকে ১১৮.৯ বিলিয়ন ডলারের ট্রেজারি বন্ড ক্রয় করেছে। তাদের পরেই এ অবস্থানে আছে সৌদি আরব। দীর্ঘ চার দশক পর সৌদি আরব সম্পর্কে পৃথক তথ্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে সিএনএন মানির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের ট্রেজারি বন্ড রয়েছে সৌদি আরবের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডে এক ট্রিলিয়নের বেশি বিনিয়োগ করে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন ও জাপান।
সিএনএন মানি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বন্ডের বড় ক্রেতাদের অধিকাংশের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করলেও সত্তরের দশক থেকে সৌদি আরবের কেনা বন্ডের পরিমাণ আলাদাভাবে প্রকাশ করা হতো না। ভেনেজুয়েলা ও ইরাকসহ তেল রফতানিকারক ১৪টি দেশের একটি গ্রুপে সম্মিলিতভাবে তাদের ওই বিনিয়োগ দেখানো হত।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট গত সোমবার দেশগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ আলাদাভাবে প্রকাশ করলে সেই গোপনীয়তার সমাপ্তি ঘটে।
নতুন ট্রেজারি প্রতিবেদনে আরেক বিস্ময় হয়ে এসেছে ৬০ হাজারেরও কম জনসংখ্যার দেশ কেম্যান আইল্যান্ডস। ২৬৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন ট্রেজারি বন্ড নিয়ে তারা আছে শীর্ষ ট্রেজারি বন্ড মালিক দেশের তালিকার তিন নম্বরে।
বিশ্বের অন্যতম ‘করস্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত এই দেশে ব্যবসা করতে করপোরেট ট্যাক্স দিতে হয় না। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে সেখানে প্রায় বিনা করে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হয় বলে সিএনএন মানির তথ্য।
কেম্যান আইল্যান্ডসের মতো আরেক ‘করস্বর্গ’ বারমুডার হাতেও ৬৩ বিলিয়ন ডলারের মার্কি ট্রেজারি বন্ড রয়েছে।
এ দুটো দেশের বিনিয়োগের পরিমাণও আগে ক্যারিবীয় দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে দেখানো হতো।