আইন ও আদালতলিড নিউজ

খাদ্যপণ্যে ভেজাল: ক্ষমা চাইলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান

এবিএনএ : নিম্নমানের পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়ায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। রবিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।

নির্দেশের প্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিএসটিআই ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে, যার মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি নিম্নমানের পণ্য পাওয়া যায়। পরে হাইকোর্ট সেসব পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশে যে ৫২ পণ্য বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় সেগুলো হলো— তীর, জিবি, পুষ্টি ও রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সরিষার তেল, সান ব্র্যান্ডের চিপস, আরা, আল সাফি, মিজান, দিঘী, আর আর ডিউ, মর্ণ ডিউ ব্রান্ডের ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, প্রাণ, মিষ্টিমেলা, মধুবন, মিঠাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি ব্র্যান্ডের নুডলস, টেস্টি তানি তাসকিয়া ও প্রিয়া সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশ, প্রাণ, ফ্রেস ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া, এসিআই পিওর ব্র্যান্ডের ধনিয়া গুঁড়া, প্রাণ ও ড্যানিস ব্র্যান্ডের কারী পাউডার, বনলতা ব্র্যান্ডের ঘি, পিওর হাটহাজারির মরিচের গুঁড়া, এসিআই, মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিং ব্র্যান্ডের ময়দা, রূপসা ব্র্যান্ডের দই, মক্কা ব্র্যান্ডের চানাচুর, মেহেদি ব্র্যান্ডের বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশালের ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিল ফুডের হুলুদের গুঁড়া, মধুমতি ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া, গ্রীনলেনের মধু, কিরণ ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিন ব্র্যান্ডের মরিচের গুঁড়া, ডলফিন ব্র্যান্ডের হলুদের গুঁড়া, সূর্য ব্র্যান্ডের মরিচের গুঁড়া, জেদ্দা ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই।

Share this content:

Back to top button