এবিএনএ : বিভিন্ন খাতে গ্যাসের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোয় ভোক্তা অধিকারকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
আজ শুক্রবার ঢাকায় শিশু একাডেমীতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের প্রাইসটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের দামও আমরা অ্যাডজাস্ট করতে চাই।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সারা বাংলাদেশে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ বিতরণ করার লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সুতরাং আমাদের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করার মানসিকতাও থাকতে হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন খাতে গ্যাসের দাম মার্চ ও জুনে দুই ধাপে গড়ে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। কিন্তু তাতে আবাসিক গ্রাহকদের রান্নায় ব্যবহৃত গ্যাস ও বাণিজ্যক সংযোগে দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সমিতির (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, বিইআরসির গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন তারা।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে রপ্তানি খাতও চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ৩০-৩৫ লাখ গ্রাহক পাইপ লাইনে গ্যাস পায়, বাকি কোটি কোটি লোকের কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হল সারা বাংলাদেশে আবাসিক খাতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি দেওয়া, আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।
সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহার থেকে সরে আসতে চাই, এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে চাই এবং এলপিজির দাম সহনীয় রাখতে চাই। এর আগে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়িয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। তখন বিদ্যুতের দামও ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়ানো হয়।