এ বি এন এ : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘সমাজকে সত্যিকারের জ্ঞানে আলোকিত করে জঙ্গিবাদসহ সকল অপশক্তি প্রতিরোধ করা সম্ভব। আলোকিত সমাজে কখনো এই ধরনের অপশক্তি ঠাঁই পাবে না।’
তিনি শনিবার ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র সেরা সংগঠক সম্মাননা পুরষ্কার বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক ড. মাহমুদুল-উল-হকের সভাপতিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদও বক্তৃতা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী অনুষ্ঠানে গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়া ঈদের জামাতে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এদেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি কখনো মেনে নিতে পারেনি। এ অপশক্তি তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য শান্তির ধর্ম ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রম এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘সুখি ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বর্তমান সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, উপবৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ, বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার সরবরাহ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রভৃতি শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশে শিক্ষা বিস্তারে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে সকল ধরনের অপশক্তি ও অপসংস্কৃতি প্রতিহত করা সম্ভব বলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে।’
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র ১৫৩ জন সংগঠককে পুরস্কৃত করা হয়। বর্তমানে সারা দেশে ২৫০টি উপজেলার ১১ হাজার ৮০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেকায়েপ-এর সহায়তায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির সংগঠকদের উৎসাহিত করতে ২০১৩ সাল থেকে সেরা সংগঠকদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। ১৯৭৮ সনে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে ২০১০সাল থেকে সেকায়েপ সহায়তা দিয়ে আসছে।