বিনোদনলিড নিউজ

সালমানের মৃত্যু নিয়ে ফের লাইভে রুবি

এবিএনএ : প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন আমেরিকা প্রবাসী রাবেয়া সুলতানা রুবি। এ ঘটনায় ফের সরগরম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। এবার মৃত্যুর পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লাইভে আসলেন সালমান হত্যা মামলার অন্যতম এই আসামি।আজ বুধবার সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে ফেসবুকে ফের লাইভে আসেন রুবি। এ সময় তিনি একটানা প্রায় ২৫ মিনিট লাইভে থেকে সালমান শাহর মৃত্যুর পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন।

লাইভে রুবি বলেছেন, পূর্বে আবেগের বসে তিনি সরাসরি সালমান শাহর খুনের কথা বলেছেন। আসলে তার এইভাবে বলা ঠিক হয় নি। আর তাই তিনি তার পূর্বের বক্তব্যে একটু পরিবর্তন এনে বলেছেন, সালমান শাহর মৃত্যু খুন না আত্মহত্যা এ নিয়ে কথা বলবো না, তদন্তই প্রমাণ করবে সেটা আসলে কি।  তিনি আরো বলেন, সামিরা কেন সামনে এসে বলেনা যে, আমি কি করেছি, আমাকে নিয়ে কেন এত প্রশ্ন বা আমার কি কারণ ছিল যে আমি ওকে খুন করবো। কিছুইতো বলে না ও, যা বলে ওর বাপ শফিকুল হক হীরা।সালমান শাহের মৃত্যুর দিনের একটি ঘটনা উল্লেখ করে ভিডিওতে তিনি বলেন, যেদিন সালমান শাহ মানে ইমন মারা যায়, আমাদের সবাই তাদের বাসায় যাওয়ার পর ইমনের স্ত্রী সামিরা কেন আমাকে না জানিয়ে আমার ছেলে ইহসান জামিল ভিকিকে একটা কাপড়ের পুঁটলি দিয়েছিল ওদের বাসা থেকে আমাদের বাসার ছাদে ফেলার জন্য? কী ছিল ওই কাপড়ের পুঁটলিতে? কেন আবুলের কাছে সালমান শাহর সুইসাইড নোট ছিল?লাইভের এক পর্যায়ে তিনি প্রশ্ন ছুড়েছেন, সামিরা কেন কথা বলেনা? সামিরা কেন সামনে আসেনা? ওকি ভিআইপি? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর থেকেও কী উপরে যে উনি কথা বলতে পারেন না? জনগণের সামনে আসতে পারেনা? কেন ওনার ভয়? কারণ কথা বলতে পারবে নাতো, জবাব নাইতো।ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, এটি একটি খুন যেহেতু হাসবেন্ড মারা যাওয়ার পর সামিরা হাসপাতালে না গিয়ে গয়নাগাটি বা কোন কিছু আমি জানিনা কি ছিল ওই কাপড়ের মধ্যে বাধা। এগুলো নিয়ে ব্যস্ত ছিল।ভিডিওতে তিনি আবার বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা আমি জানিনা। আগের ভিডিওতে আমি এটাকে হত্যা বলেছিলাম। কারণ তখন আমি ইমোশনাল ছিলাম বেশি, যার কারণে আমি বলেছিলাম এটা হত্যা। হত্যা কি আত্মহত্যা এটাতো ঠিকমত যদি আবার সামিরা বা সামিরার বাবাকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাহলে ঠিকই বের হবে।এর আগে সোমবার ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় রুবি বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান সালমান শাহ। সব মিলিয়ে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার বেশিরভাগই হিট। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন এ নায়ক। সালমানের মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে দুই দশক ধরে বিতর্ক চলছে।

https://youtu.be/VTSRKg78EcI?t=5

Share this content:

Back to top button